১২৫তম জন্মদিনে পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে শ্রদ্ধা গুগলের, দেখে নিন কীভাবে
শুক্রবার ভারতের অগ্রগন্য পরিসংখ্যানবিদ তথা বিজ্ঞানী প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ-এর ১২৫তম জন্মদিন। এই দিনে তাঁকে স্মরণ করলো গুগল সংস্থা। সংস্থার সার্চ ইঞ্জিনে আজকের গুগল ডুডলটি উৎস্বর্গ করা হয়েছে তাঁর নামেই। ডুডলটি এঁকেছেন নিশান্ত চোক্সি।

১৮৯৩ সালের ২৯ জুন ততকালীন বাংলায় জন্ম হয় মহলানবিশের। পরিসংখ্য়ানিদ্যাও যে চর্চার বিষয়, ভারতে এই ধারণা তিনিই প্রথম দিয়েছিলেন। এই ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তিনি ভারত তথা বিশ্বে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। জনগণনার ক্ষেত্রে এখনও তাঁর আবিষ্কৃত পদ্ধতি 'মহলানবিশ ডিসট্যান্স' ব্যবহার করা হয়।
প্রথম জীবনে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু পরিসংখ্যানবিদ্যা চর্চার জন্য একটি পৃথক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন বোধ করেছিলেন। তাই ১৯৩১ সালে মূলত তাঁরই উদ্যোগে বরানগরে গড়ে ওঠে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটটিস্টিকাল ইন্সস্টিটিউট। ভারত তথা বিশ্বে পরিসংখ্যানবিদ্যার চর্চায় আজ এই প্রতিষ্ঠান বিশেষ জায়গায় আছে।

পাশাপাশি তিনি অনুভব করেন ভারতের মতো বিশাল দেশে তথ্য সংগ্রহ করে পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করলেই চলবে না, একে একটা ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস ও সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিশনের মাধ্যমে তিনিই ভারতে একটি সার্বিক পরিসংখ্যান ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। পরিসংখ্যান বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে তাঁকে ভারতের প্রথম প্ল্যানিং কমিশনের সদস্যও করা হয়।
জনসংখ্যা, ব্যয়, ফসল উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রের গবেষণায় নৃতত্ত্ববিদ্যা, অর্থনীতি, পদার্থবিদ্যার মতো বিজ্ঞানের নানান বিষয়কে কাজে লাগানোর ব্যাপারে মহলানবিশই পুরোধা। কাজের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ও গণিত মহলের শ্রদ্ধা কুড়িয়েছিলেন ভারতের পরিসংখ্যানবিদ্যার জনক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। ১৯৭২ সালে তাঁর ঊনআশিতম জন্মদিনের ঠিক আগের দিন মারা যান এই প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ।