কেষ্টর খাটানো মশারির ফাঁক দিয়ে কেউ ঢুকতে পারল না, বীরভূমে জেলা পরিষদে ৪২-০ তৃণমূল
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূম জেলা পরিষদের সব আসন তৃণমূলের দখলে চলে গেল।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূম জেলা পরিষদের সব আসন তৃণমূলের দখলে চলে গেল। মনোনয়ন জমা করার পরে দেখা গিয়েছিল, ৪২টি আসনের মধ্যে ১টিতে বিজেপির প্রতিনিধি মনোনয়ন জমা করেছিলেন। ফলে জেলা পরিষদে জয় নিশ্চিত হয়ে গেলেও তৃণমূল ওয়াকওভার পেয়েছে তা বলা যাচ্ছিল না একজন মাত্র প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায়। তবে এদিন সেই প্রার্থী চিত্রলেখা রায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করার আবেদন করে বসেছেন। ফলে বলা যায় তৃণমূল বীরভূম জেলা পরিষদে ৪২-০ হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: শুক্রবার ধর্মঘটে হাজিরার নির্দেশিকা! এই কয়েকটি ক্ষেত্রে মিলতে পারে ছাড়]
ঘটান হল এদিন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১৬ এপ্রিল ফের শুনানি হবে। তার আগে কমিশনকে বেশ কিছু রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিজেপিকে তথ্য গোপনের অভিযোগে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসবের অবশ্য কোনও প্রভাব পড়েনি বীরভূমে। বিজেপি প্রার্থী চিত্রলেখা নিজে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কাগজ সিউড়ির মহকুমা শাসকের দফতরে জমা দিয়ে আসেন। মহকুমা শাসক কৌশিক সিং নিজে সেকথা জানিয়েছেন।
বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল অবশ্য আগেই ঘোষণা করে রেখেছিলেন, ওই একজন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেবেন। কারণ তিনি নাকি মানসিক কষ্টে ভুগছেন। তারপরই এদিন চিত্রলেখাদেবী নাম তুলে নেওয়ায় বিজেপি আক্রমণ করেছে অনুব্রত মন্ডলকে। এমন উসকানিমূলক কথা এলাকায় গোলমাল বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে অনুব্রত আছেন নিজের মতো। কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এমন মশারি খাটিয়েছেন, তার ফাঁক গলে কেউ ঢুকতে পারবে না। বাস্তবেও হল তেমনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্ট দলকে সব আসনে জিতিয়ে আনার দিকে চূড়ান্তভাবে এগিয়ে গেলেন। চিত্রলেখা রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে এসেছেন বলেও দাবি করেছেন অনুব্রত মন্ডল।
প্রসঙ্গত, শুধু জেলা পরিষদ নয়, পঞ্চায়েত সমিতি সহ অন্য স্তরেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে বলে দেখ যাচ্ছে। যদি ফের নতুন করে মনোনয়ন জমা করার কোনও সিদ্ধান্ত আদালত জানায়, সেক্ষেত্রে কী হবে তা সময়ই বলবে। আপাতত কেষ্টর গড়ে তৃণমূল বাজিমাত করে বসে রয়েছে।
[আরও পড়ুন:হাইকোর্টে তৃণমূলের 'সমস্যা' বাড়াল বিজেপি! কী বলছেন অধীর ]