২০২০ লক্ষ্যে ঝাঁপাতে তৈরি 'টিম' পিকে! তৃণমূল নেত্রী মমতা বসছেন জরুরি বৈঠকে
২০২০-র লক্ষে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লক লেভেল পর্যন্ত নেতাদের সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ২০২০-তে রাজ্যের বহু পুরসভায় ভোট রয়েছে। তারই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে এই বৈঠক, বলছেন অনেকেই।
২০২০-র লক্ষে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লক লেভেল পর্যন্ত নেতাদের সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ২০২০-তে রাজ্যের বহু পুরসভায় ভোট রয়েছে। তারই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে এই বৈঠক, বলছেন অনেকেই। মঙ্গলবার হবে এই বৈঠক। বৈঠকে থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোরও।
বৈঠকে আমন্ত্রিত যাঁরা
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছেন। এই বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের ৪০০ ব্লক সভাপতি। ১২৭ টি পুরসভা এলাকার সভাপতিরাও।
থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর
মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন তৃণমূলের ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বেশ কিছু বৈঠকে হাজির থেকেছেন প্রশান্ত কিশোর।
২০২০-তে পুর নির্বাচন
রাজ্যে ২০২০ সালে ১০৭ টি পুরসভা এবং দুটি কর্পোরেশন, কলকাতা ও বিধাননগরের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও বিধাননগর দুই কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
'দিদিকে বলো' দিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বড় ধাক্কা খায় তৃণমূল। ৪২ টির মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করে তারা। সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য হল উত্তরবঙ্গের ৮ টি আসনের একটিও পায়নি তারা। পরবর্তী সময়ে দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে অসুবিধার কথা জানার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনকে অনেকই সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
প্রতি ওয়ার্ড থেকে ২০ জনকে নিয়ে কমিটি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতার ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৫ জন সারারণ বাসিন্দাকে নিয়ে একটি গঠন করতে চায় তৃণমূল। ব্লকের ক্ষেত্রে প্রতি রাস্তা থেকে ৫ জন। পরবর্তী পর্যায়ে ওয়ার্ড এবং ব্লকে সংখ্যাটা নিয়ে যাওয়া হবে ২০-তে। তালিকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামের পাশে ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও থাকবে। ওয়ার্ড এবং ব্লক প্রেসিডেন্টদের বলা হবে, সেই নাম ১০ দিনের মধ্যে দেওয়ার জন্য।
বুথ থেকে থাকবেন ৩ জন করে সদস্য
ব্লক প্রেসিডেন্টকে বলা হবে প্রতি বুথ থেকে ৩ জন পার্টি কর্মীর নাম দেওয়ার জন্য। সারা বাংলায় ৭৭ হাজার বুথ রয়েছে। এর ফলে ২.৩১ লক্ষ দলীয় কর্মীর হিসেব পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
পিকের পরামর্শে সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী দলীয় সংগঠনে ওপর ভরসা না করে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে কাউন্সিলরের সক্রিয়তা সম্পর্কে। আর দলের বর্ষীয়ান নেতারা বলছেন, এই পদ্ধতি দলের সাংগঠনিক শক্তিকে শক্তিশালী করবে। যা তাদের ২০২০-র নির্বাচনের পাশাপাশি ২০২১-এর নির্বাচনে জিততেও সাহায্য করবে।