পিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও সমস্যা! দলীয় পদ ছেড়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল
পিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও সমস্যা! দলীয় পদ ছেড়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল
দলের প্রতি অভিমান থেকে সব পদ ছাড়লেন উত্তরপাড়ার (uttarpara) তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (prabir ghoshal) । এদিন তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন দলের প্রতি অভিমান জন্মেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছিলেন বলেই সোমবার তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছেন।
কলেজের অনুষ্ঠান নিয়ে নোংরা রাজনীতি
নিজে পড়েছে নবগ্রাম হীরালাল কলেজে। সেই কলেজের গভর্নিং বডি তৈরি হয়েছে তাঁরই সুপারিশে। কলেজের প্রশাসনিক ভবন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। কিন্তু সেই ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় তাঁর নাম নেই। প্রবীর ঘোষাল দাবি করেছেন, কলেক কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে তাঁকে যেন না ডাকা হয়, ওপরমহল থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টিকে তিনি নোংরা রাজনীতি বলে অবিহিত করেছেন। বিষয়টি তিনি দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে জানাননি বলেও জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানা হচ্ছে না
তাঁরই এলাকায় রয়েছে নাম করা কলেজ উত্তরপাড়া পেয়ারিমোহন কলেজ। সেই কলেজের গভর্নিং বডি তৈরির জন্য একবছর আগে নামের তালিকা তিনি শিক্ষা দফতরে দিয়েছিলেন। কমিটি ঘোষণাও করা হয়। কিন্তু সরকারি ঘোষণায় বলা হয় আপাতত এই কমিটি কাজ করতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেও কাজ হয়নি। প্রবীর ঘোষাল অভিযোগ করেন, এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও মানা হচ্ছে না।
তাঁকে হারাতে ষড়যন্ত্র
এদিন তিনি বলেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লার ইস্তফার দিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, যদি স্থানীয়ভাবে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে তিনি (প্রবীর ঘোষাল) অন্য কোনও পছন্দের এলাকার নাম বলতে পারেন। সেই এলাকা থেকেই তাঁকে প্রার্থী করা হবে। এব্যাপারে প্রবীর ঘোষাল বলেন, এলাকায় তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজো ৫০০ বছরের পুরনো। তাই তিনি বলেছেন, এই এলাকার বাইরে অন্য কোথাও দাঁড়াবেন না। এদিন তিনি ফের একবার এলাকায় খারাপ রাস্তার অভিযোগ তুলে বলেছেন, তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে হারাতে দলেরই একটা চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রবীর ঘোষাল বলেছেন, প্রশান্ত কিশোরের দায়িত্ব নেওয়ার পরেও একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। পচা মুখের কারণে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দলের হার হয়েছে বলে এদিন তিনি মন্তব্য করেছেন।
মানুষের জন্যই বিধায়ক পদে
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবীর ঘোষাল বলেন, তিনি ঠিক করেছিলেন বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অনুরোধেই তা তিনি করেননি। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি, কোনও ক্লাবকে টাকা দেওয়ার সুপারিশ, এইসব কারণেই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি বলে জানিয়েছেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন, হুগলি জেলা কোর কমিটির পদ ছাড়াও জেলা তৃণমূলের মুখপত্রের পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। দলে থাকতে তিনি তোষামোদের পক্ষপাতী নন বলেও জানিয়েছেন প্রবীর ঘোষাল।
ছবি সৌ:ফেসবুক