রাজীব গান্ধী, জ্যোতি বসু বড় নেতা! কাঁথির ভবিষ্যত নিয়ে স্পষ্টবাদী শুভেন্দু অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে
রাজীব গান্ধী, জ্যোতি বসু বড় নেতা! কাঁথির ভবিষ্যত নিয়ে স্পষ্টবাদী শুভেন্দু, জল্পনা তুঙ্গে
কাঁথির ভবিষ্যৎ নিয়ে বার্তা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের এক সভায় তিনি বলেছেন, সেখানে বিরোধীদের সব চেষ্টাই বৃথা যাবে। কাঁথির মানুষ পুরসভাকে ফের বিরোধী শূন্য করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০০৫ সাল থেকে কাঁথি বিরোধী শূন্য
২০০৫ সালেও সারা বাংলা যখন লালে লাল, সেই সময়েই বিরোধী শূন্য হয়েছিল কাঁথি। তৃণমূল জিতেছিল সব আসন। এবারও কাঁথি বিরোধী শূন্য হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
জ্যোতি বসুর কথা উল্লেখ
শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রচারের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সেবার পুরভোটের প্রচারে জ্যোতি বসুকে আনা হলেও কিছুই করতে পারেনি সিপিএম।
ব্যর্থ হয়েছিলেন রাজীব গান্ধীও
শুভেন্দু অধিকারী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামও করেছেন। তিনি বলেছেন ১৯৮৭ সালে কাঁথি থেকে শিশির অধিকারীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের তরফে প্রচারে রাজীব গান্ধীকেও আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও তাঁর প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি।
এবারও কাঁথি হবে বিরোধী শূন্য
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন এবার কাঁথি বিরোধী শূন্য হবে। জ্যোতি বসু এবং রাজীব গান্ধীকে বড় নেতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, রাজীব গান্ধী ও জ্যোতি বসুর চেয়ে বড় নেতার কথা তাঁর জানা নেই। এবারও বিরোধীদের সব চেষ্টা বৃথা যাবে। গণতান্ত্রিক উপায়েই কাঁথি বিরোধী শূন্য হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন
তবে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে তৃণমূলের অভ্যন্তরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেননা শুভেন্দু অধিকারী নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়ে বিরোধী দুই দলের প্রয়াত ২ নেতার নাম উল্লেখ করেছেন। এর আগে ২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি বাংলার গর্ব মমতার সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে তৃণমূলের প্রায় সবস্তরের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সেদিন সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে ১৪ মার্চ নিজের কেন্দ্রেই বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচিতে তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন। যদিও শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দলের বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান তথা ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
শুভেন্দুর বার্তা নিয়ে জল্পনা
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে মেদিনীপুরবাসীর আত্মমর্যাদা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নীতিতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু কখনই আত্মমর্যাদা হারাতে পারবেন না। তিনিব স্পষ্ট বলেছেন, ওরা ভেবেছিল কলকাতার রাজনীতিতে তাঁকে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন, তাঁদের কথা শুনে তাঁকে রাজনীতি করতে হবে বলেও মনে করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে স্বাধীন চেতা বলে ব্যাখ্যা করেছেন শুভেন্দু।
২২ জন বিধায়ক ছাড়া আস্থা ভোট সম্ভব নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দাবি কমলনাথের