কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা গেল হুগলি জেলার একাধিক জায়গায়।
সারের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়া, বীজ ও সারের দাম বৃদ্ধি, চাষের যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি সহ একাধিক অভিযোগে এদিন সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চাষের জমির আলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখানো হয়। এদিনের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর সভাপতি তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না। তাঁর নেতৃত্বে সিঙ্গুর, খনাকুল সহ হুগলী জেলার একাধিক জায়গায়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা যায়। প্রথমে সিঙ্গুর কলেজের কাছে সিঙ্গুর ট্রমা সেন্টারের পাশের বেড়ের জমিতে আলে দাড়িয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ পরে একাধিক এলাকায় এই কর্মসূচি হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি চলাকালীন মোবাইল ফোনে সরাসরি বক্তব্য রাখেন বিধায়ক বেচারাম মান্না।
এর আগে সংসদে চলতি অধিবেশনে আনা কৃষিক্ষেত্রে তিনটি অর্ডিন্যান্স, অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ফার্মার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্স ও ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন) অর্ডিন্যান্স নিয়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যে গর্জে উঠেছেন কৃষকরা৷ তাঁরা ক্ষুব্ধ কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সে৷ কৃষকদের বক্তব্য, এই তিন অর্ডিন্যান্স পাস হলেই কৃষিব্যবস্থা কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে৷ লক্ষ লক্ষ কৃষক এবার রাস্তায় নেমে পড়ছেন৷ তাই আন্দোলনের পথে কৃষকরা। এবার সেই আন্দোলনের আঁচ পড়েছে এরাজ্যেও।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই তিনটি অর্ডিন্যান্স কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পেতে সাহায্য করবে৷ জুনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে একটি নোটিসে জানানো হয়, এই তিন অর্ডিন্যান্সের ফলে কৃষকরা তাঁদের ফসলের উত্পাদন, বণ্টন ও দাম নির্ধারনে স্বাধীনতা পাবেন৷ বেসরকারি বা বিদেশি পুঁজিপতিদের হেনস্থা থেকে রেহাই মিলবে চাষিদের৷ একই সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজে বিনিয়োগ বাড়বে ও ফুড সাপ্লাই চেনে আধুনিকতা আসবে৷
আইনজীবী রজত দে হত্যা মামলায় স্ত্রী অনিন্দিতা পাল দে-কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড