মুকুল ফের থাবা বসাতে তৈরি! তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের গতিবিধিতে জল্পনা তুঙ্গে
ফের রাজ্যে মুকুল রায়ের খেলা শুরু হচ্ছে! সম্প্রতি একটি ভিডিও ঘিরে এমনই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সামনেই উপনির্বাচনে রাজ্যে। তার আগে হঠাৎই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ে সঙ্গে দেখা গেল তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে।
ফের রাজ্যে মুকুল রায়ের খেলা শুরু হচ্ছে! সম্প্রতি একটি ভিডিও ঘিরে এমনই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সামনেই উপনির্বাচনে রাজ্যে। তার আগে হঠাৎই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ে সঙ্গে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ককে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তবে কি তিনি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে? ফের ভাঙন ধরতে চলেছে তৃণমূলে?
তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
এই জল্পনার পারদ চড়তেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রকাশ্যেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে শাক শিবিরে। মুকুল রায়ের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের এক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের ভিডিও ভাইরাল হতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বেও চাপে। যদিও ওই প্রাক্তন বিধায়ক প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে।
মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা
মালদহের গাজোলের প্রাক্তন বিধায়ক সুশীল রায়ের দাবি, মালদহের একটি হোটেলে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। সেই ছবি নিয়ে অযথা চর্চা হচ্ছে। দেখা হয়েছিল, সেই কারণেই সৌজন্যের খাতিরে তিনি আলাপচারিতা করেছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ তাঁর তৃণমূল ছাড়ার কোনও সম্পর্কে নেই।
প্রাক্তন বিধায়কের দাবি
সুশীল রায়ের দাবি, তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তৃণমূলেই থাকবেন। অযথা তাঁর নামে বদনাম ছড়ানো হচ্ছে। তৃণমূলেরই একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে এই কুৎসা রটাচ্ছে। তিনি মালদহের গাজোলের বর্তমান বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁকে দলে কোণঠাসা করতেই এই বদনাম করা হচ্ছে।
বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ
বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়েছে, সুশীল রায়ের মতো অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের বিজেপিতে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সময় এলেই তাঁরা তৃণমূল চেড়ে বিজেপিতে আসবেন। মুকুল রায়ও নানা সময়ে দাবি করেছেন, তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রী, বিধায়ক-সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
তৃণমূলের দাবি
তৃণমূলের মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভময় বসু অবশ্য সুশীল রায়ে বিজেপিতে যোগদানের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর গাজোলের বর্তমান বিধায়ক দিপালি বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাসের দাবি, যদি কিছু বলারই থাকে, তিনি দলের বৈঠকে বলতে পারতেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে বলে তিনি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরও
মুখ্যমন্ত্রী এবার উ্তরবঙ্গে সফরে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি সবাইকে এক যোগে কাজ করতে বলেছেন। তারপরও মালদহে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে রয়েছে। ইংরেজবাজার পুর এলাকায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও নীহার ঘোষের পর নতুন সংযোজন গাজোলের প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কের লড়াই।