শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের ‘হারাকিরি’! অনুগত সৈনিকদের ঘাড়ে কোপ, নেপথ্যে কি পিকের হাত
শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের ‘হারাকিরি’! অনুগত সৈনিকদের ঘাড়ে কোপ, নেপথ্যে কি পিকে-ই
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অনকেরই উপর কোপ পড়েছে। এবার প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। কেন দলের প্রতি অনুগত থাকার পরও ছেঁটে ফেলা হচ্ছে পদ থেকে, তার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না দলের একাংশ। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁরা তো দল ছাড়েননি, তবু কেন তাঁদের সঙ্গে দল বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে?
পুর প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণে প্রশ্ন
সম্প্রতি পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ সেনকে। তিনি তৃণমূলের সমস্ত কর্মসূচিতে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে সরিয়ে বিদায়ী পুরসভার উপ পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়কে পুর প্রশাসক করা হয়েছ। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য বাড়ানো হয়েছে দুজন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপসারিত পুর প্রশাসক।
বৈমাতৃসুলভ আচরণ, মমতার উদ্দেশ্যে বার্তা
পদ থেকে অপসারিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, আমাকে কোনও কিছুই না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখা সত্ত্বেও দল আমার সঙ্গে বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে। আমার মনে হয় এই বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জানেন, তাঁর গোচরে থাকলে এমনটা কখনই হত না।
নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেও সংশয় দলে
শুভেন্দু বিরোধী নেতা বলেই পরিচিত রবীন্দ্রনাথ সেন। তিনি ৪১ বছর ধরে তমলুক পুরসভায় কাউন্সিলর। ১৮ বছর ধরে পুরপ্রধান। তাই তাঁকে নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। রবীন্দ্রনাথ বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে এতদিন কাজ করে এসেছি। এই বয়সে এসে যে সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হল, তাতে আমি মর্মাহত।
কেন এমন বদল? নেপথ্যে কি পিকের হাত
কেন এমন বদল? পুরপ্রধান হিসেবে থাকার সময় পুরসভার কাজের বিষয়ে নালিশ ছিল তৃণমূলের একাংশের। তৃণমূলের পরামর্শ দাতা প্রশোন্ত কিশোরের টিমের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে নালিশও করেছিল তৃমমূলের একাংশ। এর ফলে রবীন্দ্রনাথ সেনকে যেমন সরানো হয়েছে, তেমনই তৃণমূলের সংগঠনেও বিভাজন ঘটেছে।
নিষ্ঠা সহকারে কাজ, তাহলে সরানো হল কেন?
তমলুক শহরের তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র-সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা ৭ জানুয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপরই পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেনকে সরিয়ে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু তিনি তো দলের সঙ্গেই কাজ করছিলেন নিষ্ঠা সহকারে তাহলে তাঁকে সরানো হল কেন? প্রশ্ন সেখানেই।
শিশির অধিকারী জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারিত, নতুন সভাপতি বেছে নিল তৃণমূল