আম্ফানের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর
আম্ফানের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর
ঘূর্ণিঝড়ের একমাস পেরিয়েছে। আম্ফানের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই সোমবার ক্ষতিপূরণের দাবিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর করে গ্রামবাসীরা।
গত মাসের ২০, ২১ তারিখ নাগাদ রে রে করে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বাংলা ও ওড়িশাকে তছনছ করে দিয়ে চলে যায় সে। আমফানের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির৷ সুপার সাইক্লোনের ধংসলীলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা দুই রাজ্য। সেই আম্পানের তাণ্ডবের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু চাই প্রচুর সাহায্য। সরকারের তরফ থেকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারা কারা ক্ষতিপূরণ পাবে তার তালিকা করা হয়েছে পার্টি অফিস থেকে। বারংবার হেঁটে হেঁটে ও ক্ষতিপূরণের কোনো সুরাহা মেলেনি, শুধুই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাদের। তাই সোমবার সোমবার সকাল ১১টা থেকে বসিরহাট মহকুমার মিনাখা ব্লকের বটতলার বাজার এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ক্ষতিপূরণের সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা জানতে চেয়ে সেখানে যান কিছু গ্রামবাসী।
কিন্তু অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে লাভ হয়নি। কয়েকজন কর্মী দেখাতে নারাজ। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা তৃণমূল কর্মীদের। শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। তারপরে তৃণমূলের পার্টি অফিস ঘেরাও গ্রামবাসীরা। দুই পক্ষের হাতাহাতি ও হয় বেশ কিছুক্ষণ।
গ্রামবাসীরা পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে পাল্টা মারে জখম হয় ৪ জন মহিলা সহ বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে একজন মহিলাকে স্থানীয় মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, সমস্ত ঘটনাটাই পুলিশের সামনে হয়েছে। আক্রান্ত গ্রামবাসীরা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ভূমিকা তুলেছেন।
তবে অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, পরিকল্পনা করে গ্রামবাসীরা এসে সকাল থেকে পার্টি অফিস ঘেরাও করে। এবং নামের তালিকা অজুহাতে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক। এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। পাশাপাশি, এর পিছনে বিজেপি মদদ আছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এটা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে তৃণমূল পার্টির লোকদের গন্ডগোল, এখানে অহেতু রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে।
মাস্ক পরে কেবল অপারেটরের অফিসে লুট মধ্যমগ্রামে