দাদার অনুগামীরা চলে যান, বেইমানি করলে বাড়িতে ঢুকতে দেব না, শুভেন্দুকে বিঁধে আক্রমণ কল্যাণের
দাদার অনুগামীরা চলে যান, বেইমানি করলে বাড়িতে ঢুকতে দেব না, শুভেন্দুকে বিঁধে আক্রমণ কল্যাণের
শুভেন্দু বিতর্কে উত্তাল শাসক দল। একদিকে যেমন দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ সানিয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক অন্যদিকে শাসক দলের নেতারাও নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে চলেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়ে নাম না করেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দাদার অনুগামীরা দাদার সঙ্গে চলে যাক। দলের সঙ্গে বেইমানি করলে বাড়িতে ঢুকতে দেব না।
শুভেন্দুকে আক্রমণ কল্যাণের
বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাম না করেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার কাছে আলু বিক্রি করতিস। দাদার অনুগামীরা দাদার সঙ্গে চলে যাক। হিসেবটা আমরা বুঝে নেব। তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলে ঘরে ঢুকতে দেব না।'
শুভেন্দুকে কটাক্ষ
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস।' নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পৃথক সভার পরেই কল্যাণ বলেছিলেন শুভেন্দপ রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত।
শুভেন্দুর বাড়িতে টিম পিকে
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানে অবশ্য ছিলেন না শুভেন্দু। কথা বলেছেন তাঁর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে। শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। দল নেত্রীর কোন বার্তা নিয়ে শুভেন্দু সেখানে গিয়েছিলে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মান ভাঙানো না কড়া বার্তা কোনটা তিনি পৌঁছে দিয়েছেন সেটা নিয়ে জল্পনা চলছে।
দলনেত্রীর নাম করলেন শুভেন্দু
প্রশান্ত কিশোরের পৌঁছনোর আগেই শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে শোনা গেল দল ও দলনেত্রীর নাম। ঘাটালে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে দলনেত্রী ও দলকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন তিনি। শুভেন্দু এদিন সভায় বলেছেন, 'আমরাই জিতব, দেখবি, জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।'
অভিমানীর শুভেন্দুর মান ভাঙাতে অধিকারী বাড়িতে পিকে, কোন বার্তা পৌঁছলেন মমতা