গণতন্ত্রকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, রাজ্যসভা পর্বে কেন্দ্রকে তোপ ডেরেকের
অধিবেশন কক্ষের ভিতরে বিরোধীদের ন্যূনতম অধিকারটুকুও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে বুলবোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী মনোভাব নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্র। অধিবেশন কক্ষ থেকে গতকাল সাপপেন্ড হওয়ার পর আজ কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
সাসপেন্ড করা হয় ডেরেক সহ ৮ সাংসদকে
কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদের জেরে রবিবার রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষে চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন রুলবুক ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এর জেরে গতকাল ডেরেক-সহ আটজন সাংসদকে সাতদিনের জন্য অধিবেশন কক্ষ থেকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সাংসদদের।
সংসদ বিরোধী শূন্য হয়ে যাবে
এ-প্রসঙ্গে আজ এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, 'রাজ্যসভায় এখন কোনও বিরোধী নেই। আমার সবাই অধিবেশন বয়কট করেছি। আজ থেকে লোকসভাতেও কোনও বিরোধী থাকবে না বলে শুনেছি। সংসদ বিরোধী শূন্য হয়ে যাবে। আর সরকার বলছে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু কার ক্ষমা চাওয়া দরকার সেটা ভেবে দেখতে হবে।'
করোনার নামে গণতন্ত্র শেষ করছে সরকার
এদিন ডেরেক আরও বলেন, 'করোনার অজুহাত দেখিয়ে সংসদে সাংবাদ মাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। করোনার নামে গণতন্ত্র শেষ করছে সরকার। শুধুমাত্র একটি সরকারি চ্যানেল আর একটি বেসরকারি চ্যানেল। তাই আমরা ভিডিও তুলেছি। বেশ করেছি তুলেছি। প্রয়োজনে আবারও তুলব। কেউ না তুললে তৃণমূল একাই তুলবে।'
এই সরকার গণতন্ত্র বিমুখ
আজকের সাংবাদিক বৈঠকেও বিতর্কিত কৃষি বিল নিয়ে সরব হন সাংসদ। বিলগুলি নিয়ে যে কোনওরকম আলোচনা করেনি কেন্দ্র তা আজ আরও একবার নিজের বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন তিনি। বলেন, 'এই সরকার কৃষক বিরোধী। এই সরকার গণতন্ত্র বিমুখ। এই সরকার জনগণ বিরোধী। আমাকে সাসপেন্ড করতে পারবেন, কিন্তু চুপ করিয়ে রাখতে পারবেন না।'