নারদ মামলায় দলের নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার! সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তা অভিষেকের
নারদ মামলায় চার্জশিট পেশের আগেই আজ সকালে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। এর জেরে বিজেপি ও রাজ্যপালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তা দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
I urge everyone to abide by the law & refrain from any activity that violates lockdown norms for the sake of the larger interest of Bengal and its people.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) May 17, 2021
We have utmost faith in the judiciary & the battle will be fought legally.
অভিষেকের আবেদন
এরই মধ্যে দলের কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তা দিয়ে টুইট করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লেখেন, সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি আইন মেনে চলুন এবং এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন যা লকডাউনের বিধিনিষেধের পরিপন্থী হয়। বাংলা তথা বাংলার মানুষের স্বার্থেই এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ রাখছি। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইনগতভাবেই এই যুদ্ধের মোকাবিলা করা হবে।
নিজাম প্যালেসে মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতারির খবর পেয়েই নিজাম প্যালেসে যান। সিবিআইয়ের ডিআইজির ঘরের সামনে সকাল থেকেই রয়েছেন তিনি। সেখানে রয়েছেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ অধিকারিক থেকে শুরু করে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও। নিজাম প্যালেসের বাইরে চরম উত্তেজনা থাকায় সেখান থেকেই শুরু হয় ভার্চুয়াল শুনানি। ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়নি। এদিনই নারদকাণ্ডে অনলাইনে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। ধৃতদের হয়ে সওয়াল করেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিক্ষোভে উত্তাল
নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে ব্যারিকেড ভেঙে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট, বোতলবৃষ্টি শুরু হয়। পরে পুলিশ ও জওয়ানরা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনৈতিকভাবে গ্রেফতারি বলে দাবি করে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। রাজভবনের গেটেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ, অবস্থান, রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে জেলায় জেলায়।
বাড়ছে উদ্বেগ
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তারা মনে করছে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ধাক্কা মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। যে কোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে ৩৫৬ ধারা জারি করার পটভূমি রচনা করছে। সেই ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না। সে কারণেই কর্মী-সমর্থকদের লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান অভিষেক। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এমন বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলতে থাকলে তা ধৃতদের বিপক্ষেই যাবে। কেন না, সেক্ষেত্রে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে মামলাটি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করতে পারে সিবিআই।