মুকুলের মতো 'ক্ষমতাশালী' হলে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যেত! পিকের ভূমিকায় হুঁশিয়ারি
মুকুলের মতো ক্ষমতাশালী হলে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যেত! পিকের ভূমিকায় হুঁশিয়ারি
প্রশান্ত কিশোরের নজর পড়েছে তৃণমূল বিধায়কদের বাড়ি ও সম্পত্তির দিকে। প্রশ্ন তুলেছেন সেইসব সম্পত্তির উৎস নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে দুর্নীতি ইস্যু। তা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ফুঁসছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয়েছে ক্ষোভের অনল। কয়েকজন বিধায়ক তো দল ছাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন।
যদি মুকুল রায়ের মতো হতেন
দলের অন্দরে ক্ষোভ, তাঁরা যদি মুকুল রায়ের মতো ক্ষমতাশালী হতেন, তবে কবেই তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনও দলে যোগ দিতেন। তাঁদের অর্থ বল নেই মামলা সামলানোর মতো। তাই তাঁরা মুখ বুজে তৃণমূলে পড়ে আছেন। প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনেকে এমন কথাও বলতে শুরু করেছেন অনেকে।
বাচ্চু হাঁসদার প্রাসাদোপম বাড়ির প্রশ্নে
প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি বাচ্চু হাঁসদার প্রাসাদোপম বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কী করে হল ওই বাড়ি। কোথা থেকে টাকা এল। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তৃণমূলের একটা বড় অংশ প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকাতেই ক্ষুব্ধ। তিনি সীমা ছাড়াচ্ছেন বলে অনেকই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাঁকে সমঝে চলার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
প্রশান্ত কিশোর কাকে টার্গেট করছেন
অনেক নেতা আবার প্রশ্ন তুলেছেন, বাচ্চু হাঁসদার ওই বাড়ি দেখে চোখ কপালে উঠেছে প্রশান্ত কিশোরের! তিনি কি একবারও চোখ তুলে দেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাহলে তা নিয়ে কি প্রশ্ন তুলবেন প্রশান্ত কিশোর। একাংশের আবার মত, হয়তো বাচ্চা হাঁসদার কথা বলে অভিষেককেও বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।
জনসংযোগ বৃদ্ধি আর দুর্নীতির হ্রাসেই সাফল্য!
মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় নেতাদের উপর আস্থা না রেখে লোকসভায় ভরাডুবি হওয়ার পর দলের হাল ফেরাতে প্রশান্ত কিশোরের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নিয়েই উপনির্বাচনে তৃণমূলকে প্রভূত সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। আর এই সাফল্যের ফেরাতে তিনি জোর দিয়েছিলেন জনসংযোগ বাড়াতে আর দুর্নীতি কমাতে।
পিকের নিদানে ভাঙনের সম্ভাবনা তৃণমূলে
উপনির্বাচনে জয় এনে দেওয়ার পর স্বভাবতই তাঁর উপর আস্থা বেড়েছে। তিনি আরও স্বাধীনতা পেয়েছেন। প্রথমে জনসংযোগে বেশি নজর দেওয়ার পর এবার নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। তাতেই তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, যা তৃণমূলে ফের ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছে।
মমতাই হবেন ত্রাণকর্তা, আশাবাদী সকলে
এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে ক্ষোভের পারদ কমান, সবাইকে এক জায়গায় রাখতে সমর্থ হন, তা-ই দেখার। একইসঙ্গে প্রশান্তি কিশোরকে তিনি কীভাবে আড়াল করেন এবং তাঁর কাজে বহাল রাখেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই চেয়ে সকলে।
কোন দিকে যাবেন নেত্রী! প্রশ্ন সেটাই
কেউই কোনও ক্ষোভ বা নালিশ জানাতে ইচ্ছুক নন দলনেত্রীর কাছে। দলনেত্রীর নজরে সবকিছুই রয়েছে। সবাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর একটা বিহিত করুন। তিনি আস্থা বাড়ান নেতাদের প্রতিও। কেননা এই নেতারাই বাম জমানায় লড়াই করে ক্ষমতায় এনেছিল তৃণমূলকে। আবার পিকে চাইছেন দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে স্বচ্ছতা ফেরাতে। যাতে মানুষের কোনও অভিযোগ না থাকে তৃণমূলের প্রতি। কোন দিকে যাবেন নেত্রী! প্রশ্ন সেটাই।