অনুব্রত-গড়ে বড় ভাঙন তৃণমূলে, লোকসভা ভোটের পর যোগদানের হিড়িক বিজেপিতে
২০১৯-এ রাজ্যে ৪২-এ ৪২ প্রাপ্তির ডাক দিয়েও জবরদস্ত ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপির উত্থানে ২০২১-এর আগে সিঁদুরে মুখ দেখছে তৃণমূল।
অনুব্রত গড়ে থাবা আগেই বসিয়েছিলেন মুকুল রায়। মনিরুল ইসলাম, গদাধর হাজরা, মহম্দ আসিফ ও নিমাই দাসদের আগেই গলে নিয়েছে বিজেপি। আবারও অনুব্রতর গড়ে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল। বোলপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির যোগদান করলেন প্রায় দু-হাজার কর্মী। সোমবার এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়।
যোগদানের পরই কাজ
প্রায় দু-হাজার কর্মীদের যোগদান করিয়েই ক্ষান্ত থাকননি জেলা সভাপতি। দলত্যাগীদের সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাজও দেন। তিনি নির্দেশ দেন, দলত্যাগীদের প্রথম কাজই হবে মুখ্যমন্ত্রীকে 'জয় শ্রীরাম' লেখা পোস্ট কার্ড পাঠানো। অবিলম্বে সেই কাজ করতে নির্দেশ দেন রামকৃষ্ণবাবু।
‘জয় শ্রীরাম’ চিঠি মমতাকে
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, তৃণমূল ছেড়ে এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন প্রায় দুই হাজার কর্মী-সমর্থক। বোলপুর শহর বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল কর্মীরা সদলবলে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের প্রথম কাজই হবে 'জয় শ্রীরাম' লিখে মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানায় পাঠানো।
আরও বড় যোগদানের অপেক্ষা
এখানেই শেষ নয় নিদান, তিনি দলীয় কর্মীদের হাতে লাঠি, ইট রাখার পরামর্শ দেন। তাঁর কথায়, তৃণমূলীরা যেভাবে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে, সেই আক্রমণ প্রতিরোধ করতেই হাতে অস্ত্রশস্ত্র রাখতে হবে। তাঁর দাবি, আরও বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দেবেন বিজেপিতে। বীরভূমের একাধিক পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে তাঁদের হাত ধরবেন।
বীরভূমে জিতেও রক্তক্ষরণ দলে
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বিজেপির উত্থান হয়েছে। গেরুয়া ঝড়ে রাজ্যের শাসক দল অনেক ক্ষেত্রেই ধরাশায়ী হয়েছে। যদিও বীরভূমে দুটি আসনই ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম ও বোলপুর দুটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু লোকসভা ফলপ্রকাশের পর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতেও বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন যোগ দেন বিজেপিতে। এবার দু-হাজার কর্মীর দলবদল করেন।
অনুব্রত ভুয়ো যোগদানের ব্যাখ্যা
যদিও এই দলবদলকে ভুয়ো বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ওঁদের সভায় মোট ২০০ লোক ছিল। তাহলে কী করে দু-হাজার কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন! দু-একজন যেতে পারেন। আর যারা গিয়েছেন, তাঁরা এখন ফোন করে বলছেন, তারা ভুল করেছেন।