রাজ্যপালের শিলমোহর মিললেও ‘বেসরকারি’ তকমা ঘুচছে না নব প্রস্তাবিত স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাজ্যপালের শিলমোহর মিললেও ‘বেসরকারি’ তকমা ঘুচছে না নব প্রস্তাবিত স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের
গত পয়লা সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা থেকে 'স্বামী বিবেকানন্দ বিল ২০১৯ পাস হলেও এতদিন সেটি রাজ্যপালের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকরের অনুমোদন মেলার পর রাজ্যে স্বামী বিবেকানন্দের নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। উত্তর-চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে এটিকে 'বেসরকারি' শিক্ষা প্র তিষ্ঠানের তকমা দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য, সরকারী কোষাগারে ঘাটতি থাকায় প্রকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্থিক বণ্টন কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আগেই ভাবনা চিন্তা করেছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজভবন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের পয়লা সেপ্টেম্বর বিলটি বিধানসভা থেকে পাস করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজভবনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে বিলটির পর্যালোচনা করার পর সেটি রাজ্যপালের কাছে গত ৬ই নভেম্বর পাঠানো হয় বিবেচনা করার জন্য। তারপরই বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনে সবুজ সংকেত মেলে রাজ্যপালের তরফে।
অন্যদিকে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব পাওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকার কোনও রকম ব্যয় ভার বহন করতে নারাজ হওয়ায় একটি বেসরকারি শিক্ষা সংস্থাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয় ওই কমিটির তরফ থেকে।
যদিও, ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারিকরণ সম্পর্কিত একটি বিলও পাস হয় বিধানসভায়। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, চিকিৎসা সহ আগামীতে আরও অনেক বিষয়েও স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।