জোটের জট আর কাটছেই না! কংগ্রেসের আসনে প্রার্থী সিপিএমের, আবার উল্টোটাও
প্রথম দুই দফায় ৬০ আসনে ভোট হবে বাংলায়। তার আগে তৃণমূল ও বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। সংযুক্ত মোর্চা তথা বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট কয়েক ক্ষেপে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করলেও নতুন জট ঘিরে ধরেছে তাদের।
প্রথম দুই দফায় ৬০ আসনে ভোট হবে বাংলায়। তার আগে তৃণমূল ও বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। সংযুক্ত মোর্চা তথা বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট কয়েক ক্ষেপে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করলেও নতুন জট ঘিরে ধরেছে তাদের। জোটে আবারও জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ সিপিএম প্রার্থী দেওয়ার পর কংগ্রেসও একই আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
সিপিএমের পর এবার প্রার্থী দিল কংগ্রেসও
পুরুলিয়ার কাশীপুর আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। সেখানে এবার প্রার্থী দিল কংগ্রেসও। এখন প্রশ্ন কার প্রার্থী সংযুক্ত মোর্চার হয়ে ভোটে লড়বে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে প্রথম দফার ভোটের মনোনয়ন। এখন দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় জোটে তৈরি হল জটিলতা।
সিপিএমের তরফে প্রার্থী, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস
বাম-কংগ্রেস জোটের জটিলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শেষ মূহূর্তে ভোট কাটাকাটির খেলা হতে পারে। জোটের আসনরফা অনুযায়ী কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার কথা কাশীপুরে। কিন্তু আগেভাগে কাশীপুরে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় সিপিএম। সিপিএমের তরফে প্রার্থী করা হয় মল্লিকা মাহাতোকে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয় কংগ্রেস।
সিপিএমকে প্রার্থী প্রত্যাহার করার আবেদন
মঙ্গলবার কাশীপুর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কাশীপুরে বলরাম মাহাতোকে প্রার্থী করা হয়। ফলে একই আসনে জোটের দুই প্রধান শরিক প্রার্থী খাঁড়া করে। চরমে পৌঁছয় জোট-জট। কংগ্রেস জানিয়েছে, সিপিএমকে প্রার্থী প্রত্যাহার করার আবেদন করা হয়েছে। আলিমুদ্দিনের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে প্রার্থী প্রত্যাহার করার বিষয়ে।
জটিলতা আরও দুই ক্ষেত্রে
তবে জটিলতার শেষ এখানেই নয়। জয়পুর আসন নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। জয়পুরে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী থাকার কথা থাকলেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। এখানে প্রার্থী প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে কংগ্রেসকে। আবার রঘুনাথপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের। তাঁরা সিপিএমকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গণেশ বাউড়িকে প্রার্থী করে আলিমুদ্দিন।