পরিবারকে করোনা রোগীর বিষয়ে জানাতে রাজ্যে চালু হল সিপিএমএস পদ্ধতি
পরিবারকে করোনা রোগীর বিষয়ে জানাতে রাজ্যে চালু হল সিপিএমএস পদ্ধতি
করোনা রোগীদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে পরিবারের সদস্যদের ওপর। যার ফলে রোগীদের স্বাস্থ্যের খবর তাঁরা কোনওভাবেই পাচ্ছেন না। রাজ্য সরকারের কাছে ক্রমাগত এ বিষয়ে অভিযোগ আসার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৃহস্পতিবার সূচনা করল কোভিড–১৯ পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিপিএমএস)। এর মাধ্যমে যে কোনও কেউ সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট অনবরত পেতে পারবেন।
রোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল যে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি তাঁদের রোগীর সম্পর্কে কোনও তথ্যই পাচ্ছেন না। এরপরই উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, সিপিএমএস এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে দেশের সবাই এক ক্লিকের মাধ্যমে করোনা রোগীর আপডেট জানতে পারবে। তিনি বলেন, 'এখানে ১,১৪৪ জন সঙ্কটজনক রোগী রয়েছেন, মাঝারি উপসর্গ রয়েছে ১,০৪৩ জন রোগীর মধ্যে, মৃদু উপসর্গ রয়েছে ১,৯৪৬ জন রোগীর মধ্যে এবং উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা ১,১৩৪ জন। এরই মধ্যে এক ক্লিকেই মোট ৪০০ জন রোগীর আপডেট জানতে পারা যাবে এই সিপিএমএসে। আমরা এই কাজের জন্য ৯৬ জন চিকিৎসককে কাজে লাগিয়েছি, যাঁরা রোগীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং অনবরত এই পদ্ধতিতে রিপোর্ট আপডেট করবেন। যাতে কোনও ধরনের বিভ্রান্তির সৃ্ষ্টি না হয়।’
সিনহা জানান, সরকার টেলিমেডিসিন ও কাউন্সেলিংয়ের সুবিধা সরবরাহ করতে শুরু করেছে এবং গত মাসে ৪২,৫৪৪ জনেরও বেশি লোক এই পরিষেবাটি গ্রহণ করেছে। এই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য উত্তীর্ণ সাংবিদকতা, মনোবিজ্ঞান ও মনোরোগ নিয়ে পড়াশোনা করা পড়ুয়াদের নিয়োগ করা হয়েছে। কোভিড–১৯ হাসপাতালগুলিতে বেডের উপলব্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২৩,৫০০টি বেড উপলব্ধ রয়েছে ৮৩টি করোনা ভাইরাস হাসপাতালে (বেসরকারি ও নিরাপদ বাড়ি সহ) এবং তার মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ ভর্তি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাসপাতালেরলবেড নিয়ে কোনও চিন্তা করার দরকার নেই।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলকাতার কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক প্লাজমা ছাড়াও কোভিড–১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে।
বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার, মৃত বেড়ে ১৯০২ জন