নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন মুখ্যমন্ত্রী! ভোট বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি শুভেন্দুর
প্রত্যেকদিন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ভোট বাতিলের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যের ১০৮ পুরসভাতে ভোট হবে। এর আগে গতকাল বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দ
প্রত্যেকদিন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ভোট বাতিলের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ২৭ তারিখ রাজ্যের ১০৮ পুরসভাতে ভোট হবে। এর আগে গতকাল বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।
শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বিরোধীদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার। কাউকে আটকে রেখে তো আবার কাউকে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
আর এরপরেই বুধবার বিকেলের পর থেকেই একের পর এক পুরসভায় জয় পেতে শুরু করে তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ছিনিয়ে নেয়। আর এরপরেই আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। যা নিয়ে কার্যত ধন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। ঘটনার পর কমিশনে পৌঁছুন শুভেন্দু অধিকারীও।
তাঁর দাবি, সাঁইথিয়া, বজবজ এবং বোলপুরে ভোট বাতিল করতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বিজেপি। এমনটাও হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর এরপরেও পাট্টা বিতরণ করা হচ্ছে। আর তা করে উত্তরবঙ্গের পুরসভাগুলিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। এই সমস্ত বিষয়ে কমিশন কোনও ব্যবস্থা না নিলে লাগাতার আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতেও সরব হন শুভেন্দু। বলেন, রাজ্যের যা আইনশৃঙ্খলার অবস্থা তাতে কোনও ভাবেই শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব নয়। বিধাননগরে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন না করা হলে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব নয়। প্রার্থীরা মনোনয়ন পর্যন্ত জমা দিতে পারছে না। এরপরেও মনে হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে? প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক।
অন্যদিকে এদিন বিজেপির কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়াল, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে সহ ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় এক পুলিশকর্মীও মাথায় আঘাত পান।
বিজেপি নেতার মতে, ভোট দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি নেতাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনকি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। মনোনয়ন জমা দিলে দেখে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এই বিষয়ে একাধিকবার কমিশনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
আর বুধবারের ঘটনা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। উল্লেখ্য বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপির উপর হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বলেও এদিন সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।