মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতেই বেসুরো, মুর্শিদাবাদে প্রচার মঞ্চ থেকে বাবুলকে বিঁধলেন শুভেন্দু
মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতেই বেসুরো, মুর্শিদাবাদে প্রচার মঞ্চ থেকে বাবুলকে বিঁধলেন শুভেন্দু
একটা সময়ে হাত ধরাধরি করে প্রচার করেছেন তাঁরা। খড়দহে শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে রসিকতা করতেও দেখা গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। হঠাৎ করে বিজেপি নেতার এই শিবির বদলে চমকে গিয়েছেন সকলেই। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নাম করেই বাবুল সুপ্রিয়কে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, 'ক্ষমতার লোভ। আমার কাছে তিন তিনটে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার অফার ছিল আমি নিইনি। আরেকজনের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতেই বেসুরো।'
বাবুলকে বিঁধলেন শুভেন্দু
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ নেতা। আসানসোলের দাপুটে সাংসদ। জিতেন তিওয়ারির নাকানি চোবানি খাইয়ে ছেড়েছিলেন বাবুল। হঠাৎ করে সব সমীকরণ বদলে তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যাকে বলে হইচই পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শেষ প্রর্যন্ত প্রকাশ্যে বাবুল সুপ্রিয়কে নিশানা করেছেন। মুর্শিদাবাদে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়াতেই বাবুল সুপ্রিয় শিবির বদল করেছেন। শুভেন্দু নিজে দাবি করেছেন তাঁর কাছে তিনটি মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি সেটা গ্রহন করেননি। আর বাবুল সুপ্রিয় একটি মন্ত্রিত্ব যেতেই শিবির বদল করে ফেলেছেন।
মমতাকে নিশানা
মুর্শিদাবাদের প্রচার মঞ্চ থেকেও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন নন্দীগ্রামে লড়তে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে গোহারা হেরে ফিরেছেন। অবার ভবানীপুরেও হারতে হবে তাঁকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভবানীপুর কেন্দ্রে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রথমদিন প্রচারও করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপরেই বাবুল যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
তৃণমূলে বাবুল
বিধানসভা ভোটে বিজেপির হার। মন্ত্রিসভায় রদবদল বঙ্গ বিজেপিতে যে বড় প্রভাব ফেলেছে তার প্রমাণ প্রকট হতে শুরু করেছে। বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান চমকে দিয়েছে সকলকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ওব্রায়েনের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। সোমবার নবান্নে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন বাবুল। তিনি বলেছেন এবার মন খুলে তিনি কাজ করতে পারবেন। দল যে নির্দেশ দেবে সেই মতই তিনি কাজ করবেন বলে জািনয়েছেন।
ঘর ভাঙছে কংগ্রেসের
এদিকে বিধানসভা উপনির্বাচনের ঠিক আগেই কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন অধীর ঘনিষ্ঠ মইনুল হক। জঙ্গিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তিনি। সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে নিজের দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই জঙ্গিপুরে অভিষেকের সভায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন তিনি। এদিকে আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূলের হয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন।