করোনা থেকে মুক্তি পেতে করম পুজোর আয়োজন সুন্দরবনে
করোনা থেকে মুক্তি পেতে করম পুজোর আয়োজন সুন্দরবনে
বিশ্ব জুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাস যেভাবে থাবা বসিয়েছে, পাশাপাশি আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেভাবে আঘাত হানছে তার প্রতিরোধে প্রকৃতিকে পুজো করতে হবে, না হলে এই মহামারী থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না।
তাই
কোরোনা
ও
প্রাকৃতিক
দুর্যোগের
হাত
থেকে
রেহাই
পেতে
করম
পুজোর
আয়োজন
সুন্দরবনের
আদিবাসী
সমাজের।
সুন্দরবনের
সন্দেশখালি
ব্লকের
বয়ারমারী
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
শংকর
দহগ্রামে
গ্রাম।
সেখানে
শনিবারের
সেখানে
করম
পুজোর
পর
টানা
আট
দিন
সেই
পুজোতে
মেতে
উঠবেন
আদিবাসী
সমাজের
মানুষেরা।
আদিবাসী নৃত্য ও গানের মাধ্যমে রাতভর করম উৎসবে মাতলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সম্পাদক অশ্বিনী মাহাতো, মানস মাহাতো মধুসূদন মাহাতো সহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী সমাজের কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে করম গাছপুজো হয়ে আসছে। আসলে করম একটি গাছ, তাই গাছকে প্রসাদ হিসেবে লুচি, তেলের পিঠে, শশা সহ বিভিন্ন ফুল বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়।
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রকৃতি বাঁচাতে এই রীতি চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। আদিবাসী সমাজের মানুষেরা সম্প্রতি বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের উৎস্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বারবার বলেছেন প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে তাই ভারসাম্য বজায় রাখছে করোনার মত উপসর্গ এনে। তাই এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। গাছ লাগাতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
এরই মধ্যে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এই সব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। আর তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। না হলে আগামী দিনে আরও বড় দুর্যোগের কবলে পড়তে হবে মানুষকে। তাই শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সুন্দরবনের করমউৎসব।
মমতার বিরুদ্ধে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বিজেপির! শুধুই একুশের আগে ভিড় বাড়ছে
{quiz_321}