সৌমিত্রকে এখনও বিশ্বাস করেন সুজাতা, যুব মোর্চায় 'মহিলা বিতর্কে' দিলীপ ঘোষকে নিশানা
সৌমিত্রকে এখনও বিশ্বাস করেন সুজাতা, যুব মোর্চায় 'মহিলা বিতর্কে' দিলীপ ঘোষকে নিশানা
বিজেপির (bjp) যুব মোর্চার বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই (dilip ghosh) দায়ী করলেন যুব মোর্চার বর্তমান সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (soumitra khan) -এর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল (sujata mondal)। গত কয়েক মাসে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলেও, কোনও রুচিহীন মহিলার প্রতি তাঁর আগ্রহ থাকতে পারে না বলেই মনে করেন তৃণমূল (trinamool congress) নেত্রী সুজাতা মণ্ডল।
এক নেত্রীকে নিয়ে সক্রিয় সৌমিত্র
যুব মোর্চায় এক মহিলা নেত্রীকে নিয়ে সক্রিয় সৌমিত্র খাঁ। দিন কয়েক আগে তিনি মৌমিতা সাহা নামে এক নেত্রীকে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করেন। পাশাপাশি তাঁকে যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করার নির্দেশ দেন। যার জেরেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। অভিজ্ঠতা না থাকা কাউকে কীভাবে রাজ্য সম্পাদক পদে বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যুব মোর্চার রাজ্য নেতৃত্বের একটা বড় অংশ।
পুরনো নেত্রীদের সম্মানহানির অভিযোগ
এরপরেই যুব মোর্চার পুরনো মহিলা সদস্যরা চিঠি দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, যাঁরা এই নিয়োগের বিরোধিতা করছেন, তাঁদেরকে কাজ না করতে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন সৌমিত্র। এছাড়াও প্রকাশ্যে তাঁদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। চিঠিতে বনশ্রী মণ্ডল, ঝিলাম বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়ঙ্কা শর্মার মতো নেত্রীরা বলেন, রাজ্য যুব মোর্চায় বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্যই চিঠি। সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করেন, যুব মোর্চায় একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন তিনি। দলের রীতি না মেনে, নিজের ইচ্ছামতো পার্টিতে যোগ দেওয়া মহিলাদের কোর কমিটিতে যুক্ত করছেন। যার জেরে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছেন, দীর্ঘদিন যুব মোর্চা করে আসা অন্য মহিলারা। এছাড়াও তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্মান করার জন্য যুব মোর্চার অফিসিয়াল গ্রুপ থেকে পুরনো মহিলা সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলের কাজ করতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি হুমকিও জুটছে সৌমিত্রের থেকে। প্রচার পাওয়ার জন্য দলের অভ্যন্তরের বিষয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনিই। মোর্চায় পুরনো মহিলা কর্মীদের সম্মান রক্ষায় ব্যবস্থা নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে আবেদন জানানো হয় সেই চিঠিতে।
যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরাতে চক্রান্ত
এই পরিস্থিতিতে সৌমিত্র খাঁ-র পাশে দাঁড়িয়েছেন গত কয়েকমাস আলাদা থাকা তাঁর স্ত্রী সুজাতা। তিনি বলেছেন, সৌমিত্রকে নিয়ে যে জল্পনা তৈরি করা হচ্ছে তার কোনও দাম নেই। তাঁদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়াতেই কিছু লোক পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সুজাতা বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন এই পরিস্থিতি আরও আগেই তৈরি হবে। তিনি বলেছেন, সৌমিত্রকে তিনি নয় বছর ধরে চেনেন। সৌমিত্র অন্য কোনও মহিলার দিকে চোখ তুলে তাকায় না। নাম না জানা, অচেনা মহিলাদের প্রতি তাঁর (সৌমিত্র) কোনও আগ্রহ থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আর ব্যক্তিগতভাবে কোনও মহিলাকে সে (সৌমিত্র) পাত্তাও দেয় না বলে জানিয়েছেন সুজাতা। যে অভিযোগ সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা হাস্যকর, বলেছেন তিনি। কেননা যাঁরা পরিশ্রম করে জায়গা করে নেয়, তাঁরা কোনও রুচিহীন কাজ করতে পারে না বলেই মনে করেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরে প্রচারের দায়িত্ব সামলানো সুজাতা মণ্ডল।
নিশানা দিলীপ ঘোষকে
সুজাতার
অভিযোগ
সৌমিত্রকে
যুব
মোর্চার
সভাপতির
পদ
থেকে
সরাতেই
এইসব
করা
হচ্ছে।
এব্যাপারে
তিনি
নিশানা
করেছেন
বিজেপির
রাজ্য
সভাপতি
দিলীপ
ঘোষকে।
তিনি(দিলীপ)
চাইছেন,
সৌমিত্রকে
পদ
থেকে
সরাতে।
তিনি
কটাক্ষ
করে
বলেছেন,
বিজেপি
গোয়ালঘরে
গরুদের
মধ্যে
গুঁতোগুঁতি
চলছে।
এর
আগেও
সুজাতা
নিশানা
করেছিলেন
দিলীপ
ঘোষকে।
শেষবার
জুনে
সৌমিত্র
খাঁ
জেলার
মিডিয়া
সেলের
হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপ
ছাড়ার
পরে।
সেই
সময়
তিনি
স্বামীর
পাশে
দাঁড়িয়েছিলেন
এবং
বলেছিলেন
বিজেপি
ছাড়ার
জন্য।
পাশাপাশি
তিনি
দিলীপ
ঘোষকে
আক্রমণ
করে
বলেছিলেন
যে
জায়গা
থেকে
উনি
নির্বাচিত,
সেই
মেদিনীপুরে
এবার
হেরেছে
বিজেপি।