অধীরের নবাবী শেষ, লোকসভার আগে কেউ কংগ্রেসে থাকবেন না! কীসের আভাস শুভেন্দুর
কংগ্রেসের শেষ সম্বলটুকু অস্তমিত করে তোলার কারিগর যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সেই শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানালেন, ‘মুর্শিদাবাদে আর কেউ কংগ্রেস করতে চায় না।
পঞ্চায়েতে নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সবুজ-ঝড়ে চুরমার হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের অধীর-মিথ। কংগ্রেসের শেষ সম্বলটুকু অস্তমিত করে তোলার কারিগর যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সেই শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানালেন, 'মুর্শিদাবাদে আর কেউ কংগ্রেস করতে চায় না। কংগ্রেসের কোনও চিহ্ন থাকবে না লোকসভা নির্বাচনের পর। নিজের কেন্দ্র বহরমপুরে অধীর চৌধুরী কী ভাবে হারবেন, তা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না।'
শুভেন্দু অধিকারী এই বিপুল জয়ের পর বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের স্বার্থে জনসংযোগের যে কাজ করেছেন, তার ফলেই এই বিশাল জয় পেয়েছে তৃণমূল। গোটা বাংলায় সেই প্রভাব পড়েছে। বাদ যায়নি মালদহ ও মুর্শিদাবাদও। কংগ্রেসের দুই জেলাতেও তাই উল্লেখযোগ্য ফলাফল করেছে তৃণমূল।'
[আরও পড়ুন:'অনুব্রতর মশারি ফুটো করে দিয়েছে মানুষ', কে বললেন এমন কথা জানেন ]
শুভেন্দুর কথায়, 'এই দুই জেলা এতদিন কংগ্রেসের গড় বলে ব্যাখ্যা করা হত। এই নির্বাচনের পর নিশ্চয় আর কেউ বলবেন না, এটা কংগ্রেসের গড়। দুই জেলাতেই আজ গণেশ উল্টে গিয়েছে। পরিবর্তন এসেছে। এখন নিজেদের অস্তিত্বরক্ষাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের কাছে। মুর্শিদাবাদে আমরা প্রায় ১০০ শতাংশ আসন দখল করেছি, আর মালদহের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদেও ৯০ শতাংশের বেশি আসন পেয়েছি।'
মুর্শিদাবাদে আর কেউ কংগ্রেস করবে না বলে জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'ইতিমধ্যেই অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। চারজন বিধায়ক আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। বাকিরাও তৃণমূলে আসতে চান। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবে। অধীরবাবুর সঙ্গে কেউ থাকবেন না।'
[আরও পড়ুন: বিজেপি এগিয়ে যেতেই রাতে বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া এজেন্টকে! কোথায় ঘটেছে এমন ]
তিনি বলেন, 'আসলে অধীরবাবুর সুযোগসন্ধানী রাজনীতি আর কেউ পছন্দ করছেন না। আর তার থেকেও বড় কথা, মুর্শিদাবাদের উন্নয়নে কাজ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন উন্নয়ন হয়নি, এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষ তা দেখতে পাচ্ছে। তাই জনসমর্থন আমাদের দিকেই। শুধু মুর্শিদাবাদই নয়, মালদহের গনিখানের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। তাই এই জেলাতেও তৃণমূলের দাপট শুরু হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও দুই জেলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে কংগ্রেস।'