কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে উদ্যোগ! মমতাকে টেক্কা দিতে ভোটের আগেই শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি বিজেপির
ভোটের আগে কলকাতায় শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি বিজেপির (bjp)। ইজেডসিসিতে করা সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এবার শিল্পপতিদের নিয়ে সম্মেলন (industry meet) করবে তারা। ডিসেম্বর কিংব
ভোটের আগে কলকাতায় শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি বিজেপির (bjp)। ইজেডসিসিতে করা সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এবার শিল্পপতিদের নিয়ে সম্মেলন (industry meet) করবে তারা। ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে এই শিল্প সম্মেলনের (industry summit) প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই শিল্প সম্মেলন ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার পরেই সিদ্ধান্ত বদল! নাড্ডা নন, রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি বিজেপির
রাজ্যে চাই কর্ম সংস্থান। রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় লক্ষ লক্ষ বেকার ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। এবার লকডাউনের সময় সেই চিত্র সকলের সামনে এসেছে। এই চিত্রের বদল করতে চায় বিজেপি। লক্ষ্মী পুজোর দিনে তারই প্রচার শুরু করে দিল বিজেপি। ইজেডসিসিতে করা সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের ঘোষণা ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে, সেই শিল্প সম্মেলনের উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। সেই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও হাজির থাকবেন।
হতে পারে ভার্চুয়াল সামিট
প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে শিল্প সম্মেলন করার। কিন্তু সেই সময় কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তা ভার্চুয়াল করা হতে পারে।
বাংলার জন্য ইতিবাচক রাজনীতি
ইজেডসিসিতে করা সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, বিজেপি বাংলায় ইতিবাচক রাজনীতি করতে চায়। যুবকদের জন্য কর্ম সংস্থান চাই। তিনি বলেন, জমি দেওয়ার প্রশ্নে কোনও ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হয়ে থাকা কারখানার জমিতে শিল্প স্থাপনের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, সিঙ্গুরের বিষয়টি দেখছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে অভিযোগ, গত ১০ বছরে রাজ্যে কোনও বড় শিল্প আসেনি। বাংলার হৃত গৌরব ফেরাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
চাই কর্ম সংস্থানের সুযোগ
রাজ্যের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বেকারি। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দাবি করে থাকে রাজ্যের বেকারি ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ যে দাবি রাজ্য সরকার করে তা ভুয়ো। সরকারি ব্যবস্থায় হাজার হাজার পদ ফাঁকা। সেখানে নিয়োগের কোনও উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যে কোনও বড় শিল্প হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী চপ শিল্পের কথা বলে থাকেন। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে সমগ্র বিরোধী মহল।
গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে রাজ্যপালের খোঁচা
মাস কয়েক আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্য সরকারের দ্বারা আয়োজিত বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শিল্প সম্মেলনের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, সেই খরচ লগ্নির চেয়ে বেশি নয়তো। রাজ্যের করা শিল্প সম্মেলনে কত কোটির লগ্নি এসেছে তা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁকে সেই তথ্য দেওয়া হয়নি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল।
{quiz_408}