হিন্দু বাবার মুসলিম ছেলে, মুসলিম বাবার হিন্দু ছেলে! আম্ফান দুর্নীতিতে ধর্ম কোনও বাধা হয়নি তৃণমূলের
আম্ফান নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, যে জেলাগুলি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেইসব জেলায়। প্রথমে মামুলি কিছু ঘটনা সামনে এসেছিল। যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় প্রথানের স্ত্রীর নাম যুক্ত হয়ে যাওয়ার মতো।
আম্ফান নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, যে জেলাগুলি সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেইসব জেলায়। প্রথমে মামুলি কিছু ঘটনা সামনে এসেছিল। যেমন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় প্রথানের স্ত্রীর নাম যুক্ত হয়ে যাওয়ার মতো। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে তত দুর্নীতির গভীরতা সামনে আসছে। যেখানে ধর্ম কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। রায়দিঘিতে তৃণমূলের প্রধান কান ধরে ক্ষমা চাইলে, এক্ষেত্রে এমন কিছু এখনও ঘটেনি।
নিয়মভঙ্গকারী সব পোস্টে লেবেল! সতর্ক করল ফেসবুক
হিন্দু বাবার মুসলিম ছেলে
বাবা অমূল্য বিশ্বাস। ছেলে জাকির হোসেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী এমনই আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা উলুবেড়িয়া একনম্বর ব্লকের। সবাই ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
মুসলিম বাবার হিন্দু ছেলে
বাবা শেষ সইদুল। ছেলে পলাশ কর। বাবা শেখ রফিকুল হাসান, ছেলে রাম দাস। এই চিত্রও উলুবেড়িয়া একনম্বর ব্লকের। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যাই আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন।
সন্তানদের তালিকায় সর্বধর্ম
বাবা কালীপদ দাস। কিন্তু তাঁর ১৩ ছেলে মেয়ের মধ্যেই সব ধর্মই রয়েছে। উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীপদ দাসের ১৩ ছেলে মেয়ের সবাই ২০ হাজার করে টাকা পেয়েছেন। তালিকায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের ছেলে মেয়ে রয়েছেন। ছেলেদের তালিকায় নামগুলি এরকম, মেঘনাদ সামন্ত, তরুণ প্রামাণিক, শ্রীকান্ত বোয়াল, উত্তম বেরা, শেখ মনিরুল। মেয়েদের তালিকায় রযছেন মুরশিদা বেগম ও রুইয়া বেগমের নাম।
২২৫০ জন পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা করে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত মোট ২২৫০ জন ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় যাঁরা রয়েছেন, কারও রয়েছে এসি লাগানো দোতলা বাড়ি তো কারও রাজপ্রসাদ রয়েছে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর স্বামী কিংবা এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কেউই বাদ যাননি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।