শিশু পাচার কাণ্ডে রূপা-কৈলাশকে ছাড় নয়, বোঝাল মমতার সরকার, পাঠান হল সিআইডি তলব
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীকে নোটিস পাঠাল সিআইডি। সূত্রের খবর, জুলাইয়ের ২৭ ও ২৯ তারিখ ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে দুই নেতা-নেত্রীকে
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীকে নোটিস পাঠাল সিআইডি। সূত্রের খবর, চলতি মাসের ২৭ ও ২৯ তারিখ ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে দুই নেতা-নেত্রীকে। এছাড়াও, বিজেপির আরও দুই নেতাকে তলবের কথাও জানা গিয়েছে।
শিশু পাচার কাণ্ডে চার্জশিটে রূপা গাঙ্গুলি কিংবা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নাম না থাকলেও, ভিতরে দুই নেতা-নেত্রীর নাম করেছেন তদন্তকারীরা।
২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে। মার্চের শেষে জলপাইগুড়ি সফরে গিয়ে শিশুপাচার রুখতে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যেই জড়িত হোন, কাউকেই ছাড়া হবে না।
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারকাণ্ড নিয়ে বারবারই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ফেব্রুয়ারিতে জলপাইগুড়িতে শিশুপাচারে ধৃত হোম কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীর মুখে শোনা গিয়েছিল, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীর নাম। সিআইডি সূত্রের দাবি, হোমের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ ও অনুদান আদায়ের জন্য কর্ণধার চন্দনাকে নিয়ে একাধিকবার দিল্লি যান জুহি। তবে তিনি একাই যে এই কাজ করেছিলেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
শিশু পাচারচক্র প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আত্মগোপন করেন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। বিজেপি নেত্রীর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালান সিআইডি-র গোয়েন্দারা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে শেষপর্যন্ত উত্তরবঙ্গে জুহির হদিস মেলে।
শিশু পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে দার্জিলিঙের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী, জলপাইগুড়ির শিশুসুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিআইডি সূত্রে দাবি, চন্দনা চক্রবর্তীকে শিশু পাচারে মদত দিতেন সাস্মিতা।