রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খাদ্যাভ্যাস : 'কাবাব নোসি' থেকে নিমের সরবত! বিশ্বকবির প্রিয় খাবারের তালিকা একনজরে
রবীন্দ্র জয়ন্তী ২০২০: 'কাবাব নোসি' থেকে নিমের সরবত! রবি ঠাকুরের প্রিয় খাবারের তালিকা একনজরে
তাঁর সাহিত্য চর্চা থেকে শিল্পকলা বিভিন্ন আঙ্গিকে বঙ্গ জীবনে চর্চিত হয়। শুধু বাঙালি নয় রবীন্দ্রচর্চা দেশ বিদেশের বিভিন্ন কোণে বহু আকারে হয়ে থাকে। শুধু সাহিত্য বা শিল্পকলাই নয়, রবীন্দ্রজীবনবোধে কিন্তু খাদ্যরসিকতা একটি বড় দিক! ঠাকুরবাড়ির হেঁসেল একটা সময় বাংলার রান্নার ঘরানার ট্রেন্ড সেট করেছে। আর সেই বাড়ির সন্তান রবির পাতে যে ভালোমন্দ খাবার পড়ত তা বলাই বাহুল্য! তবে রবীন্দ্রনাথেরও নিজের পছন্দের কিছু খাবার ছিল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
সোনা মুগের ডাল,তবে তাতে থাকতে হবে ..
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের জীবনে আশ্রমিকদের অনেকেই তাঁর জন্য বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার রান্না করে আনতেন। তবুও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির খাওয়ারের স্বাদ ভুলতে পারতেন না রবীন্দ্রনাথ। সেখানেও সোনা মুগের ডাল খেতেন তিনি। তবে তাতে চাই সজনে ডাঁটা। সজনে ডাঁটা ছাড়া রবি ঠাকুর সোনা মুগের ডাল পছন্দ করতেন না ।
ঠাকুর বাড়ির রান্নার ঘরানা
ছোট থেকেই রবীন্দ্রনাথ এমন এক পরিবারে মানুষ হয়েছেন, যেখানে স্পেন, ইতালি , ইংল্যান্ড, ইওরোপের রান্নার প্রভাব ছিল। ঠাকুর বাড়ির রান্নায় বাঙালির চেনা ঘরনার সঙ্গে মিশে থাকত বৈদেশিক বহু দেশের রান্নার প্রভাব। আর সেই হিসাবে রবি ঠাকুর নিজেও বহু ধরনের খাবারে নতুনত্ব আনতে চাইতেন।
ঠাকুরবাড়ির ফ্রুট স্যালাড
বিভিন্ন দেশের প্রভাব রয়েছে ঠাকুর বাড়ির স্যালাড তৈরিতে। শোনা যায়, বাড়ির সকলকে নিয়ে জমিয়ে বসে মধ্যাহ্ন ভোজের পর এই ফ্রুট স্যালাড খেতে পছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ।
চা ও সরবত
রবীন্দ্রনাথের প্রিয় পানীয়ের মধ্যে চা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলষ তবে জাপানের চায়ের প্রতি কবিগুরুর আকর্ষণ অনেকটাই বেশি ছিল। অন্যদিকে,সরবতের রকমফের নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন রবীন্দ্রনাথ। আর সেই কারণেই আসে নিমের সরবতের উদ্ভাবন। তবে আমসত্ত্ব , দুধ ও সন্দেশ 'মাখা'ও কিন্তু রবি ঠাকুরে প্রিয় পদ ছিল।
কাবাব থেকে ইলিশের ঝোল খাদ্য তালিকায় আর কী?
বিদেশ সফরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখনই যেতেন তখনই তিনি কোনও না কোনও বেক ফুড বেছে নিতেন। আর তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল, চিকেন কাবাব নোসি, টার্কি কাবাব, সুরতি মিঠা কাবাব। মাংসের মধ্যে যথন কাবাব তাঁর মন ছুঁয়ে যেত, তখন আবার মাছের পদকেও পিছনে রাখতেন না তিনি। কাঁচা ইলিশের ঝোল, চিতল মাছের মুঠে, নারকেল চিঁড়ি, আদা দিয়ে মাছের ঝোল ছিল রবি ঠাকুরের প্রিয় খাবারের তালিকায়।
বিদেশী যে সমস্ত পদ পছন্দ করতেন তিনি..
চিংড়ির কাটলেট সেযুগে একটি অভাবনীয় পদ ছিল। বিদেশ থেকে অসে ঠাকুরবাড়িতে এই পদের রান্নার জন্য আবদার আসত রবীন্দ্রনাথের তরফে। এছাড়াও হ্যাম প্যাটি সহ একাধিক খাবার ছিল তাঁর প্রিয়।
বাঙালি রান্নার পদ যা মন ছুঁয়ে নিত
বলা হয় ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্র নাথের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হত এঁচোড় মাংস। খাসির মাংস দিয়ে গাছ পাঁঠা রান্না তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিল। ছানার চপ ছিল তাঁর প্রিয় খাদ্য। এছাড়াও নিরামিষ রান্নার মধ্যে পাঁচফোড়ন সহকারে রান্না তাঁর পছন্দের ছিল।
{quiz_79}