তৃণমূল কংগ্রেসে কি আদৌ জায়গা হবে ছত্রধরের! মমতা 'জল' মাপতে নির্দেশ দিয়েছেন পিকে-কে
তৃণমূলের কী হলে ভালো হবে, কী খারাপ হবে, এখন সব দায়িত্ব প্রশান্ত কিশোরের। মোট কথা যেখানে মূল্যায়নের দরকার, সেখানেই পিকে-কে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের কী হলে ভালো হবে, কী খারাপ হবে, এখন সব দায়িত্ব প্রশান্ত কিশোরের। মোট কথা যেখানে মূল্যায়নের দরকার, সেখানেই পিকে-কে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট-সংক্রান্ত যাবতীয় ইস্যু যেমন সামলাচ্ছেন, তেমনই ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে- এমন বিষয়েও শেষ কথা বলছেন পিকে। যেমন ছত্রধর মাহাতো চ্যাপ্টার।
ছত্রধরকে কি দলে নেওয়া ঠিক!
জঙ্গলমহলে জনসাধারণের কমিটিরে নেতা ছত্রধর মাহাতো ১০ বছর পর মুক্ত হয়ে লালগড়ে ফিরেছেন। বাম আমলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। ২০০৯ থেকে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন। গায়ে লেগেছিল মাওবাদী তকমাও। এহেন ছত্রধরকে কি দলে নেওয়া ঠিক হবে, তা-ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন তৃণমূলে!
পিকের রিপোর্টেই ছত্রধরের তৃণমূল-ভবিষ্যৎ!
এই পরিস্থিতিতে ছত্রধরের জনপ্রিয়তা মাপার ভারও বর্তেছে পিকের ঘাড়ে। পিকের রিপোর্টের উপরই এখন নির্ভর করে রয়েছে ছত্রধরের তৃণমূল-ভবিষ্যৎ। প্রশান্ত কিশোর দিদির নির্দেশ মতো কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সমীক্ষা শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিম। ছত্রধরের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জঙ্গলমহলের মানুষের সঙ্গেও কথা বলছেন টিম পিকের সদস্যরা।
রিপোর্ট তৈরি করছেন প্রশান্ত কিশোর
ছত্রধর কী চাইছেন, কী তাঁর পরিকল্পনা, জঙ্গলমহলের মানুষই বা কতটা ছত্রধরকে চাইছেন, জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতটা- এসবই খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই মমতা সিদ্ধান্ত নেবেন ছত্রধরকে নিয়ে। কেননা মমতা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
ছত্রধরের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে
তবে ছত্রধরের সঙ্গে দেখা করা, জঙ্গলমহলের মানুষের মন বোঝার কাজটি সন্তর্পণে এবং গোপনে সেরেছেন টিম পিকের সদস্যরা। ছত্রধর জানতে পারেন, তবে তিনি প্রকাশ করেননি বা করতে চাননি। আর ছত্রধর তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দেখাই যাক না কী হয়! বলার সময় এলে সব বলব।
ছত্রধরের তৃণমূল-যোগ ও পিকের রিপোর্ট
ইতিমধ্যে শুধু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই নয়, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। এই সাক্ষাতের পর ছত্রধরের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। রটনা শুরু হয়েছে, তিনি ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলে সভাপতি পদেও বসতে পারেন। আবার আদিবাসী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানও হতে পারেন। কিন্তু সবই নির্ভর করছে টিম-পিকের রিপোর্টের উপর।