প্রশান্ত কিশোরের কৌশলে ঘুম ছুটেছে বঙ্গ বিজেপির, ‘সসেমিরা’ অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসেরও
প্রশান্ত কিশোরের কৌশলে ঘুম ছুটেছে বিজেপির, ‘সসেমিরা’ অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসেরও
২০২১-এর নির্বাচন হতে চলেছে একেবারে নতুন আঙ্গিকে। এবার অনেক বেশি কৌশলের লড়াই রয়েছে ভোটযুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে বিজেপির মোকাবিলায়। তিনি এসেই রুখে দিয়েছেন মুকুল রায়ের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের ভাঙন পরিকল্পনা। এখন তিনি তৃণমূলের জন্য এমন পরিকল্পনা এনেছেন যাতে ঘুম ছুটেছে সব দলের।
দুর্নীতিমুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার চেষ্টায়
২০২১-এর লক্ষ্যে দুর্নীতিমুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। সেই লক্ষ্যে তিনি স্বচ্ছ মুখের খোঁজ চালাচ্ছেন। আর তাঁর রিপোর্টে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতা-নেত্রীদেরই পদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন পিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর রিপোর্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেই মতো রদবদলও হচ্ছে তৃণমূলে।
পিকের পদক্ষেপে প্রমাদ গুনছে বিরোধীরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ভুল করে দলছাড়া নেতাদের ফিরে আসার বার্তা দেওয়ার পর প্রশান্ত কিশোর নিজের কাঁধে তুল নিয়েছেন সেই দায়িত্ব। পিকের টিম এখন থেকে তৃণমূলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দলছুট নেতা-নেত্রীদের। এই অবস্থায় যেমন বিজেপি বা সিপিএম-কংগ্রেস প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে, তেমনই তৃণমূলও হীনমন্যতায় ভুগছে।
পিকের আইপ্যাকের দল ভাঙানোর খেলা
২০১৯-এর ভোটের পর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেন তৃণমূলের। তারপর তিনি দলের ভাঙন রুখে পাল্টা বিরোধী দল থেকে ভাঙিয়ে আনার খেলা শুরু করেন। বর্তমানে বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের প্রবণতাও বেশি। এখন আবার পিকের আইপ্যাক টিম এলাকায় গিয়ে গিয়ে দল ভাঙানোর খেলা শুরু করায় রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে বিজেপি বা বিরোধী দলগুলির মধ্যে।
তৃণমূলে নেতানেত্রীদের হীনমন্যতা কাজ করছে
আর প্রশ্ন উঠেছে, প্রশান্ত কিশোর যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে তৃণমূলের সংগঠন বাড়বে। কিন্তু বিরোধী দল থেকে ফিরিয়ে এনে পদ দিলে তৃণমূলে থাকা নেতানেত্রীদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করবে। প্রশ্ন উঠবে তাহলে কি তৃণমূলে স্বচ্ছ নেতার এত অভাব যে বিরোধী দল ভাঙিয়ে এনে পদ দিতে হচ্ছে!
তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা দল ভাঙছেন
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছে, তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল। তারপর তারা তো দাবি করে আসছে, তাদের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। তাঁদের মধ্যে কি তাহলে কোনও স্বচ্ছ নেতা নেই। অন্য দল ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে, তবেই চলবে তৃণমূল। তা না হলে কেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এভাবে দল ভাঙতে আসরে নামবেন।
তৃণমূল না পারছে ফেলতে, না পারছে গিলতে
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোর আসার পর তৃণমূলে দুর্নীতিমুক্ত অভিযান শুরু করেছে। তার একটা যেমন সুফল আছে, তেমন কুফল আছে। কেননা পিকের তালিকায় এমন কিছু নাম রয়েছে, যাঁরা দক্ষ নেতা বা দক্ষ সংগঠক হলেও তাঁরা অস্বচ্ছ। তাঁদের দলের দরকার, কিন্তু দুর্নীতিমুক্ত করতে গিয়ে তাঁরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন। এখন তৃণমূল না পারছে তাঁদের ফেলতে, না পারছে গিলতে। তার ফলে সংকট বাড়ছে তৃণমূলে।
করোনা মোকাবিলায় ভূয়সী প্রশংসা মমতার সরকারকে, 'আন্তর্জাতিক সম্মান’ পাচ্ছেন নির্মল