পিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলে, বুমেরাং হবে না তো একুশের কুরুক্ষেত্রে
তৃণমূলের একাংশ মানতে পারছেন না প্রশান্ত কিশোরকে। ২০১৯-এর লোকসভায় ধাক্কা খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২১-এর লড়াইয়ের যাঁর উপর সবথেকে বেশি ভরসা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক।
তৃণমূলের একাংশ মানতে পারছেন না প্রশান্ত কিশোরকে। ২০১৯-এর লোকসভায় ধাক্কা খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২১-এর লড়াইয়ের যাঁর উপর সবথেকে বেশি ভরসা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের বিধায়ক। ফলে পিকেকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে অস্বস্তি। কিছুতেই এই পরিস্থতি থেকে বের করে আনা যাচ্ছে না তৃণমূলকে।
পিকে-কে নিয়ে বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল
সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ সফরে। সেখানে থেকে ফেরার পরই উত্তরবঙ্গের বিদ্রোহী বিধায়ক হুঙ্কার ছাড়েন। প্রশান্ত কিশোরকে তাক করে তিনি বলেন, কখনও ঠিকা সংস্থা দিয়ে দলের সংগঠন চলে না। বিধায়কের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
শুভ লক্ষণও নয় তৃণমূলের, মনে করছেন বিধায়ক
কোচবিহার জেলার তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন কন্ট্রাক্টর সংস্থা দিয়ে দল চালাতে গেলে সংগঠনে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সংগঠনের কাজ করা উচিত দলের সংগঠনেরই। বহিরাগত কোনও সংস্থা দল পরিচালনা করবে, এটা একেবারেই ফলদায়ক নয়, শুভ লক্ষণও নয়।
পিকের নাক গলানো অনেকেই মানতে পারেননি
শুধু মিহির গোস্বামী নন, আরও অনেক বিধায়ক-নেতা প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ভিন্ন সুর তুলেছিলেন। ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচি থেকে শুরু করে হাল আমল পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরকে নানা সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন দলের আদি নেতারা। দলের মধ্যে প্রশান্ত কিশোরের নাক গলানো অনেকেই মানতে পারেননি।
পিকের টিমকে বাধা অনেক জেলাতেই!
শুভেন্দু-গড়ে তো প্রশান্ত কিশোরের এন্ট্রিই ছিল না। শুভেন্দু অধিকারীর পূর্ব মেদিনীপুরে সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক কয়েকটি কর্মসূচি নিয়েছে। সেখানে শুভেন্দু না গেলেও জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী থেকেছেন এবং সহায়তা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনই বাধার সম্মুখীন অনেক জেলাতেই হতে হচ্ছে পিকের টিমকে।
তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম প্রশ্নের মুখে
আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা বাধার মুখে পড়েন। সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েকজন তো বলে বসেন, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের তরফে বোধহয় তাঁরা কোনও সহযোগিতা পাবেন না। এই অবস্থায় মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজকর্ম প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে বারবার।