প্রশান্ত কিশোর আর মমতাকে নিয়ে ভাবছেন না! একুশের আগে ‘দূরত্ব’ তৈরিতে তুঙ্গে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর আর মমতাকে নিয়ে ভাবছেন না! একুশের আগে ‘দূরত্ব’ তৈরিতে তুঙ্গে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বল্প সময়েই মনোবল ফিরেছিল তৃণমূলের। লোকসভায় বিজেপির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া তৃণমূল পাল্টা আঘাত দেওয়ার বল পেয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের টোটকায়। সেই প্রশান্ত কিশোর কি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যকে ছেড়ে অন্য রাজ্যে বেশি মনোনিবেশ করেছেন? প্রশ্নটা উঠে গেল অবশেষে।
বাংলা থেকে চোখ সরাচ্ছেন পিকে!
প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি বাংলা ছাড়াও বেশ কিছু রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের পাশাপাশি তিনি তামিলনাড়ুতে ডিএমকের হয়ে কাজ করছেন। সেখানে আবার তাঁর বিপরীতে আছে তাঁরই এককালের সহপাঠী। তিনি এআউএডিএমকের সমর্থনে প্রচার কৌশল তৈরি করছেন। প্রশান্ত কিশোরের কাছে এই মুহূর্তে তামিলনাড়ু প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে গিয়েছে।
বাংলা কম গুরুত্ব পাচ্ছে পিকের কাছে!
রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা, তামিলনাড়ু এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের কাছে. তার উপর এবছরই আবার বিহারের নির্বাচন। বিহার নির্বাচনে তাঁর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টাও রয়েছে. তিনি ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরি করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেওয়ার রয়েছে তাঁর। ফলে বাংলা তাঁর কাছে এখন কম গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোর গুরুত্ব পাচ্ছেন না!
বাংলায় ‘দিদিকে বলো', ‘বাংলার গর্ব মমতা'র সাফল্যের পর তিনি তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তা পছ্ন্দ হয়নি অনেকের। ফলে তৃণমূলে থানিক কোণঠাসা হয়ে পড়েন প্রশান্ত কিশোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সেভাবে প্রশান্ত কিশোরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অন্যরা।
নিজেকে কি গুটিয়ে নিচ্ছেন প্রশান্ত
তার উপর প্রশান্ত কি্শোর যখন দুর্নীতি নিয়ে সরব, তখন উল্টো পথে হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিধায়ককে টিকিট দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ফলে প্রশান্ত কিশোরের দুর্নীতি দমনের কোনও মূল্যই থাকছে না মমতার সিদ্ধান্তের কাছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এইসব নানা কারণেই প্রশান্ত কিশোর নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।
মমতার ড্যামেজ কন্ট্রোল শুরু
বাংলায় সম্প্রতি একুশে জুলাই শহিদ দিবসের কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচিতেও প্রশান্ত কিশোরের কোনও কাজ নেই বলে একাংশ মনে করছে। একমাত্র কাজ অভিষেকের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচিকে এগি্য়ে নিয়ে চলা। তাই তিনি বাংলা থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অন্য রাজ্যকে। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে্ই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন নিজস্ব কায়দায়।
সবাইকে নিয়ে চলতে চান মমতা, সেখানেই গোল
এখন দেখার ২০২১ নির্বাচনের আগে কোন দিকে যায় প্রশান্ত কিশোর ও তৃণমূলের সম্পর্ক। প্রশান্ত কিশোরের সুকৌশলী পরামর্শ নিয়েই মমতা এগিয়ে চলেন, নাকি প্রশান্ত কিশোরকে সাইড করে তিনি এগিয়ে চলেন, তা দেখা যাবে অদূর ভবিষ্যতেই। মমতা মোটকথা কাউকেই ছাড়তে চাইছেন না, সবদিক বজায় রেখে, সবাইকে নিয়ে চলতে চাইছেন। সেখানেই বেধেছে গোল।
রাজস্থানের কংগ্রেস দূর্গে বড় ফাটল! পাইলট-শিবির দিল্লি পৌঁছতেই রাজনীতির অঙ্ক তুঙ্গে