সিঁথিকাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে
সিঁথিকাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে
গত ১১ ই ফেব্রুয়ারি একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে সিটি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা পাইক পাড়ার বাসিন্দা রাজকুমারকে তুলে নিয়ে আসে। পাশাপাশি এই চুরির ঘটনার মূল সাক্ষী আশুরা বিবি কেউ থানায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সাক্ষী আশুরা বিবি অভিযোগ করেন যেটি থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা ভয় দেখিয়েছেন ইলেকট্রিক শক দেবেন বলে এবং রাজকুমার মারধর করা হয় ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার মূল সাক্ষী আশুরা বিবি বদল করে জানান যে রাজকুমার ওপর শারীরিক নির্যাতন করেনি পুলিশ।
রাজকুমার সাহেবের পরিবারের অভিযোগ তাকে তুলে এনে সিটি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান এবং ইলেকট্রিক শক দেয় বলেও অভিযোগ সেই কারণেই রাজকুমার বাবু সহ্য করতে না পেরে মারা যান। ঘটনার দিন রাতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় সিটি থানার সামনে। রাজকুমার বাবুর পরিবারের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্যই মূলত স্মৃতি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা তার ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল এবং সেই কারণেই রাজকুমার সব মারা গিয়েছেন।
ঘটনার
তিন
দিন
বাদে
লালবাজার
হোমিসাইড
শাখা
তদন্ত
শুরু
করেন
এবং
সেই
তদন্তে
তিনজন
পুলিশ
আধিকারিক
বিরুদ্ধে
বিভাগীয়
তদন্ত
শুরু
করেন
এবং
এই
তিনজন
অভিযুক্ত
পুলিশ
আধিকারিক
কে
সাসপেন্ড
করা
হয়।
এই
ঘটনার
জল
গড়িয়ে
যায়
কলকাতা
হাইকোর্ট
পর্যন্ত
হাইকোর্টের
প্রধান
বিচারপতির
ডিভিশন
বেঞ্চে
একটি
জনস্বার্থ
মামলা
দায়ের
করা
হয়
সেই
মামলার
পরিপ্রেক্ষিতে
প্রধান
বিচারপতি
সুব্রামানিয়াম
ও
বিচারপতি
অরিজিৎ
বন্দ্যোপাধ্যায়
ডিভিশন
বেঞ্চ
সিঁথি
থানা
কাণ্ডে
রাজকুমার
ময়নাতদন্ত
ভিডিওগ্রাফি
করার
নির্দেশ
দেন
পাশাপাশি
৩
অভিযুক্ত
পুলিশের
বিরুদ্ধে
তদন্তের
নির্দেশ
দিয়েছেন
এবং
পুরো
ঘটনাটি
যাতে
ভিডিওগ্রাফি
করা
হয়
সেই
নির্দেশ
দিয়েছিলেন
ডিভিশন
বেঞ্চ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল হাইকোর্টের বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে।হাইকোর্ট সূত্রে খবর সিটি থানার রাজ কুমার সাহু এর মৃত্যু পুলিশি হেফাজতেই হয়েছিল এবং তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় চলতি সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি।