বাংলার নির্বাচনের সময় ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন হ্যাক, নেপথ্যে কারা
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মোবাইল ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছিল বাংলার নির্বাচন চলাকালীন। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার 'পেগাসাসে'র টার্গেটে ভারতের রাজনীতিবিদ ও কৌশলবিদ-সহ অনেকেই ছিসেন।
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মোবাইল ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছিল বাংলার নির্বাচন চলাকালীন। ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার 'পেগাসাসে'র টার্গেটে ভারতের রাজনীতিবিদ ও কৌশলবিদ-সহ অনেকেই ছিসেন। সেই অজস্র নামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের নামও। ডিজিটাল ফরেনসিক প্রকাশ করেছে, পিকের ফোন হ্যাক হয়েছিল বাংলার নির্বাচনের সময়।
প্রশান্ত কিশোর এবারের নির্বাচনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার একটি বিশ্বব্যাপী মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের অংশ, যা স্নুপিং কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়েছে। প্রশান্ত কিশোর বলেন, তাঁর ফোনটি এখনও হ্যাক হচ্ছে। যদিও তিনি তার হ্যান্ডসেট একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন।
প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে আরও বলেন, "আমরা স্নুপিংয়ের সন্দেহ করতাম, কিন্তু হ্যাকিংয়ের বিষয়টি কখনও বুঝতে পারিনি। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমি হ্যান্ডসেটটি পাঁচবার পরিবর্তন করেছি। তারপরও হ্যাক হচ্ছে ফোন। দ্য ওয়্যার রিপোর্টে উদ্ধৃত ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৪ জুলাই প্রশান্ত কিশোরের ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছিল। তিনি তখন কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন।
২০১৪ সালে বিজেপির প্রচারে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় এনেছিল। এরপরে তিনি বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেন বাংলায় বিজেপিকে পরাস্ত করতে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন প্রশান্ত কিশোরের ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছিল। বর্তমানে ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের ঠিক কয়েক মাস আগে ২০১৮ সালে তাঁর ফোন হ্যাক করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল।