রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নপত্রে 'ফেল', মন্ত্রীর পদত্যাগের পর কী বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
গত মাসেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীবকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। তবে তাতেও বরফ গলেনি। একদিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়া ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে এদিন শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বট গাছ থেকে দুই-একটা পাতা ঝড়ে গেলে কিছু এসে যায় না।
বিজেপির সঙ্গে আরও একটা সংখ্যা যোগ হবে হয়ত
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তাঁরা কী কারণে যান, আর কী কারণে থাকেন, এটা তাঁরাই বলতে পারবেন। দলের মধ্যে অভিযোগ জানানোর কথা বলে দলের ক্ষতি করতে না পেরে দলবদল করছে। এমনিতেই হেরে বসে আছে। বিজেপির সঙ্গে আরও একটা সংখ্যা যোগ হবে হয়ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ইঞ্জিন, কে কোথায় নামল, তাতে কিছু যায় আসে না।'
বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
'রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে দল চালাতে হয়৷ যাঁরা তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করতে পারলেন না তাঁরা বিজেপিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা কীরকম৷ ওদের হায়ার করা নেতাদের নিয়ে দল চালাতে হয়৷ তৃণমূল সমুদ্র৷ এক-আধ ঘটি জল তুলে নিলে সমুদ্রের কিছু হয় না।' এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ
এর আগে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর নাকতলায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বনমন্ত্রী। তখনও তিনি সেই পদে ছিলেন। ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন। সেসময় খানিকটা মান-অভিমান কমেছিল রাজীবের। পরে বিধানসভার পুষ্পমেলায় অংশ গ্রহণও করেন।
রাজীবের গলায় অন্য সুর শুনেই বিজেপির বার্তা
এদিকে রাজীবের গলায় অন্য সুর শুনেই বিজেপির দিকে থেকে বার্তা আসতে শুরু করে। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ বিভিন্ন সভা থেকে তাঁকে স্বাগত জানানোর কথাও বলেন। যদিও সেসব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ডোমজুড়ের বিধায়ক। এরপর দু-একটি সভা থেকে দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান।
'আপনারা সবসময় আমার পাশে রয়েছেন'
আজ পদত্যাগের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন রাজীব। সেখান থেকে তিনি লেখেন, 'আমি বনমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করছি। বিগত বছরে আমি আমার কর্তব্য দায়িত্ব সহকারে পালন করেছি। আমি আপনাদের আমার বর্ধিত পরিবার বলে মনে করি। আপনারা সবসময় আমার পাশে রয়েছেন। আপনাদের সেবার জন্য আরও ভালো পথ বেছে নিতে চাই। এর জন্যই আমি রাজনীতিতে এসেছি।'