বিজয়বর্গীয়র চিড়ে-মন্তব্যের সমালোচনায় পার্থ, বিজেপি নেতাদের বঙ্গ সংস্কৃতি জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ
সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উত্সব অনুষ্ঠানে এসে নাগরিকত্ব আইন ও বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র চিড়ে-মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উত্সব অনুষ্ঠানে এসে নাগরিকত্ব আইন ও বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র চিড়ে-মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলা সংস্কৃিত নিয়েই কোনও জ্ঞান নেই ওইসব নেতার।
আগামী সপ্তাহে সরস্বতী পুজো। এই পুজোয় দই চিড়া মিশিয়ে দধিকর্মা করা হয়। এটা পুজোর দীর্ঘ দিনের রীতি। আগের দিনই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় চিড়ে নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে এটি বাংলাদেশের খাবার। তার বাড়িতে যারা কাজ করছিল তাদের খাওয়া দেখে এই মন্তব্য করেছেন কৈলাশ।
তা নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে বিজেপি কে কটাক্ষ করা হয়েছে। এই দিন চিড়ে প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেউ কেউ সরস্বতী পুজোতে লাড্ডু খাওয়াতে চায়। এখানে যা নিয়ম সেটাই হবে । মহারাষ্ট্রে সরস্বতী পুজো বা অন্য পুজোতে লাড্ডু খাওয়ানো হয় কী না তা আমার জানা নেই। যারা খুব জ্ঞানী লোক তাদের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করা খুব কঠিন। এদের এত জ্ঞান যে এরা পোষাক দেখে, চিড়া খাওয়া দেখে, মাঠে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে তা দেখে লোক চিনতে পারে ।
বাংলা কাউকে আলাদা করে না ও সবাইকে বুকে নেয় বলে মন্তব্য করে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা সবাই একসাথে থাকি । তোমরা ভাগাভাগি করতে চাইছ কেন? সবাইকে নিয়ে কাজ করার আলাদা আনন্দ আছে । আসুন না আমরা বাংলার জন্য, মানুষেরজন্য এক সাথে কাজ করি।"
বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, আমরা না হয় চিড়া খেয়ে থাকব। চিড়াখেয়ে থাকা মন্দ কী? বলছে চিড়া খেলে তুমি আর দেশে থাকবে না। জানি না এরপর থেকে চিড়া খাওয়া বন্ধ হবে কি না? নাকি চিড়ার দাম কমে যাবে?" বিজেপি গায়ের জোরে সব কিছু করতে চাইছে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি । এই সঙ্গে তিনি জানান যে তারা কোন ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি করা বরদাস্ত করবেন না ।