করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় নবান্নে সর্বদল বৈঠক! বাম-কংগ্রেসের সম্ভাব্য দাবি নিয়ে জল্পনা
সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যে লকডাউনের শুরু। তার আগে বাজারগুলিতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ঘরে ঘরে পণ্য মজুত করতে। অন্যদিকে এদিনই বিরোধীদলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যে লকডাউনের শুরু। তার আগে বাজারগুলিতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ঘরে ঘরে পণ্য মজুত করতে। অন্যদিকে এদিনই বিরোধীদলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। বিকেলে নবান্নে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সর্বদল বৈঠক
সোমবার বিকেলে নবান্নে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, এই সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের তরফে সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বামেদের তরৎফে সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেসের তরফে প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আব্দুল মান্নান এবং বিজেপির তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং সায়ন্তন বসু উপস্থিত থাকবেন।
বিকেল ৫ টা থেকে রাজ্যে লকডাউন শুরু
এদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাজ্যের সবকটি জেলাতেই লকডাউন শুরু হচ্ছে। সবকটি জেলা সদর এবং পুর এলাকাগুলিতে লকডাউন আপাতত চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।
সরকারের পদক্ষেপে দ্বিমত নেই বিরোধীদের
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় যে দ্বিতীয় আর কোনও উপায় নেই, সেই জন্যই এই লকডাউন, এই মন্তব্যে কোনও দ্বিমত নেই সমগ্র বিরোধী পক্ষের।
বাম-কংগ্রেসের দাবি
তবে এই লকডাউনের ফলে সমাজের যে অংশের মানুষ উপার্জনহীন হয়ে পড়বেন, তাঁদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণার দাবি এদিনের বৈঠকে তোলা হতে পারে। তবে এব্যাপারে কেন্দ্রের বড় ভূমিকা নিয়ে দ্বিমত নেই বাম-কংগ্রেসের। এব্যাপারে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কেরলের থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। খেটে খাওয়া মানুষগুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চায় কংগ্রেস।