বাংলার ভোটে হাইভোল্টেজ সংঘাতের মাঝে মমতার বিজেপি বিরোধিতার চিঠি নিয়ে কংগ্রেস নিল কোন স্টান্স
দু'দিন কেটে গিয়েছে গোটা দেশের ১৫ টি বিরোধী দলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে। এই প্রসঙ্গে শিবসেনা থেকে এনসিপি সকলেই মমতার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। এই দলগুলি বহু আগে থেকেই মমতাকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যে প্রার্থী দেয়নি। এরই মাঝে কংগ্রেস নিল এক চমকপ্রদ স্টান্স।
এনসিপি কী জানিয়েছে?
কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার রাজ্যে আসছেন মমতার সমর্থনে প্রচারে। তারপর শোনা যায়, অমিত শাহের সঙ্গে শরদের একটি বৈঠক হয়েছে বলে। এদিকে, ১ এপ্রিল রাজ্যে শরদ পাওয়ারের আসবার কথা থাকলেও, তিনি আসেননি। এনসিপি জানিয়েছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারাঠা স্ট্রংম্যান রাজ্যে পা রাখতে পারেনি। তবে বিজেপি বিরোধিতায় মমতা যে ডাক দিয়েছেন তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
শিবসেনার বার্তা
এদিকে, এনসিপির শরিক দল শিবসেনা মমতার এই ডাক নিয়ে সরাসরি সমর্থন জানালে, সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভাবনা চিন্তা করছেন। আর এই বিষয়টি ভাববার অবকাশ রাখে। সমস্ত বিরোধী দলেরই উচিত এটা নিয়ে ভাবা।
কংগ্রেস ও স্টান্স
ভোট শুরু সময় যখন তৃণমূলের তরফে তাপস রায় কংগ্রেসের প্রতি একটি তাবড় বার্তা দেন, তখন কার্যত তা নস্যাৎ করেন অধীর চৌধুরী। বিজেপিকে রুখতে কংগ্রসের মিছিলে তৃণমূলের নেতা পা মেলাবেন বলে তাপস রায় এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার বিরোধিতা করে অধীর চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তৃণমূলের বিরোধিতায় রাজ্যে কংগ্রেস কতটা আগ্রাসী। সেই জায়গা থেকে মমতা সোনিয়াকে যখন বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন তখন থেকই কংগ্রেসের স্টান্স নিয়ে জল্পনা চলে।
রাজীব শুক্লা কী বলছেন
এদিকে, মমতার চিঠি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে কংগ্রেস চিরকালই এককাট্টা হওয়ার পক্ষে। আর বিজেপির হাত থেকে সংবিধান রক্ষায় মমতার দৃষ্টিভঙ্গি কংগ্রেসের ভাবনার সাথে মেলে বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেন রাজীব শুক্লা। রাজ্যে যেখানে ভোটের ময়দানে কংগ্রেসের বিরোধীপক্ষে তৃণমূল রয়েছে, সেখানে রাজীব শুক্লার এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যের জায়গা রাখে।