লাদাখ নিয়ে বিস্তারবাদী চিনের একরোখা জেদের পরোয়া করেনা ভারত ! বিদেশমন্ত্রী এবার কোন হুঙ্কার দিলেন
মস্কোয় ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরা লাদাখ ইস্যু নিয়ে একাধিক পয়েন্টে সমঝোতার রাস্তায় এসেছিলেন। সেই অনুযায়ী লাদাখ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে দিল্লি ভাবনা চিন্তা শুরু করে। কিন্তু বাধ সাধে লালফৌজ। চিন মুখে এক কথা বলে , কাজে অন্য কিছু করার রাস্তায় হাঁটতে থাকে লাদাখে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। এরপর লাদাখে পরিস্থিতি খুব একটা স্বস্তিদায়ক হয়নি। এরপর মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে জয়শঙ্করের বার্তা
এদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ও চিন প্রবল চাপের মধ্যে চলে এসেছে। তিনি বলেন দুই দেশ যে সমস্ত বিষয়ে সমঝোতা করেছিল তাকে সম্মান জানাতে হবে দুই দেশের তরফেই। যার হাত ধরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে। প্রসঙ্গত ভারত ও চিন ১৯৯৩ সালে 'ম্যানেজমেন্ট অফ ফ্রন্টিয়ার' নামাঙ্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। সেই চুক্তিকে মানার বার্তা দিয়েছেন জয়শঙ্কর।
চিনের একরোখা জেদে পরোয়া করেনা ভারত!
সর্দার বল্লভভাই প্য়াটেল মেমোরিয়াল লেকচারে অংশ নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় একতরফা সেনা সরানোর যে প্রস্তাব চিন ভারতকে দেয়,তা মানা 'অসম্ভব'। প্রসঙ্গত, এর আগে , লাদাখে একাধিক শৃঙ্গ থেকে ভারতকে আগে সেনা সরাতে বলে চিন। পাল্টা ভারত জানিয়ে দেয়, মে মাসে লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছে চিনই। ফল সেনা আগে সরাতে হবে চিনকে।
'তিন দশক ধরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল....তারপর..'
এদিন জয়শঙ্কর বলেন, গত ৩ দশক ধরে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল ভারতের। একসঙ্গে বহু সমস্যার সামনে লড়েছে দেশদুটি। একে অপরের সহায়তা করেছে। তবে করোনা পরবর্তী সময় থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দুই দেশের সম্পর্ক 'চাপের' মধ্যে এসে যায়।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও বিদেশমন্ত্রী
এদিন বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট ইঙ্গিতে বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তা পোক্ত করতেই সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে, সীমান্তে সেই কারণেই রাস্তা নির্মাণ ও ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এরপরই তিনি জানান ভারত চিরকালই প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এগোতে চায়। আর এটাই দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বলে থাকে।