মালদহ হাসপাতাল চলছে প্রায় চিকিৎসক ছাড়াই, ঝটিতি পরিদর্শনে চক্ষু ছানাবড়া জেলাশাসকের
মালদহ হাসপাতাল চলছে প্রায় চিকিৎসক ছাড়াই, ঝটিতি পরিদর্শনে চক্ষু ছানাবড়া জেলাশাসকের
মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আচমকাই পরিদর্শনে গিয়ে প্রায় সংখ্যক কোনও চিকিৎসকের দেখা পেলেন না জেলাশাসক। এছাড়া ডাক্তারদের ডিউটি রোস্টারটি উধাও হয়ে যায়। বেলা পর্যন্ত কোনও ওয়ার্ডেই চিকিৎসকরা রোগী দেখাতে না আসায় অধ্যক্ষকে ভৎসর্না জেলাশাসকের। পরিষেবা নিয়ে রোগীদের ক্ষোভ আঁচ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে তলব করে জেলাশাসক।
প্রকাশ্যে নিজের বিরক্তিও চেপে রাখেননি মালদহের জেলাশাসক।আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ডামাডোল পরিস্থিতি নিজেই প্রত্যক্ষ ভাবে দেখলেন মালদহের জেলাশাসক। আগাম কাউকে কিছু না জানিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে এদিন সকাল ১১ টার সময় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাজির হন।
প্রথমে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে এম,এস,ভি,পি সহ একাধিক আধিকারিকে পাননি তিনি। পরে জানা যায় ছুটিতে আছেন এম,এস,ভি,পি অমিত কুমার দাঁ। এরপর হাসাপাতালের অর্ন্ত বিভাগে যান। সেখানে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের অনেককেই সঠিক ইউনিফর্মে পাওয়া যায়নি। এরপর একের পর এক ওয়ার্ডে যান জেলাশাসক। বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনের পর ঘুরে দেখেন শিশু ও প্রসূতি মায়েদের বিশেষ বিভাগ মাতৃমাও। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে পরিদর্শন চলাকালীন অধিকাংশ ওয়ার্ডেই চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি।
কোন কোন ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসকের থাকার কথা এই সংক্রান্ত 'ডিউটি রোস্টার' দেখতে চান জেলাশাসক কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। এরপরেই জেলাশাসক প্রশ্ন তোলেন এভাবে চিকিৎসকরা দায়িত্ব অবহেলা করছেন তা চিহ্নিত করা যাবে কিভাবে। ক্ষুব্ধ জেলাশাসক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের নামের তালিকা প্রকাশ্যে ঝোলাতে হবে।
প্রকাশ্যেই
জেলাশাসক
ক্ষোভ
প্রকাশ
করায়
অস্বস্তিতে
পড়ে
যান।
মালদা
মেডিক্যাল
কলেজের
অধ্যক্ষ
পার্থপ্রতীম
মুখোপাধ্যায়
কেন
চিকিৎসকদের
ডিউটি
রোস্টার
দেখতে
পারেনি
তা
নিয়েও
সদুত্তর
দিতে
পারেননি
অধ্যক্ষ।
মালদা
মেডিক্যাল
কলেজ
হাসপাতালে
বর্তমানে
প্রায়
২৪
টি
বিভাগ
রয়েছে।
চিকিৎসকের
সংখ্যা
প্রায়
২০০।
এছাড়াও
রয়েছেন
শতাধিক
হাউস
স্টাফ
ও
ইনটার্ন
চিকিৎসক।
কিন্তু
চিকিৎসকদের
একাংশের
ফাঁকিবাজী
নিয়ে
বারবারই
প্রশ্ন
উঠেছে।
বিশেষ
করে
শনিবার
ও
রবিবারের
মতো
সাপ্তাহিক
ছুটির
দিনগুলিতে
মালদা
মেডিক্যাল
কলেজ
হাসপাতালে
বহু
চিকিৎসক
গড়হাজির
থাকেন
বলে
অভিযোগ।
এদিন জেলাশাসকের পরিদর্শনের পর রোগীর আত্মীয়রা বলেন আমরা খুবই খুশী হয়েছি জেলাশাসক আসার জন্য তিনি জানতে পারল যে পরিষেবা দিতে পারছে না ডাক্তার বাবুর।