বাংলায় কি ফের লকডাউন? ভুয়ো খবর, বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ নবান্নের
নতুন করে ফের বাংলায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বিভিন্ন রাজ্যেও কার্যত ছবিটা এক। এই অবস্থায় নতুন করে না,কি বাংলায় লকডাউনের ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এই খবরকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছে
নতুন করে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গাতে লকডাউনও করা হচ্ছে। বাংলায় ভোট। সভা, সমাবেশ করছে রাজনৈতিক দলগুলি। যেখানে মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স। যা যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। ভোট মিটে গেলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের একাংশ।
লকডাউন গুজব!
যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাতে নতুন করে লকডাউনের আশঙ্কা। আর এই খবর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক তৈরি হয়। এমনকি ভোট মিটলেই নাকি নতুন করে লকডাউন হবে? এমনটাও খবর রটেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু এই খবর ভুয়ো বলে সাফ জানাল নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, লকডাউন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের তরফেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন নবান্নের।
জরুরি বৈঠক হয় নবান্নে
প্রথম দফার নির্বাচন চলতি সপ্তাহেই। এই অবস্থায় সোমবার মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন। সেখানে কোভিডের কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রশাসন একগুচ্ছে নির্দেশিকে জানাল। কোভিড নিয়মাবলী যাতে মানা হয় তা জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল ডিসটেন্স সহ একগুচ্ছ ব্যবস্থা যাতে মানা হয় তা জেলা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
সোশ্যাল ডিসটেন্স মানতে হবে
সভা, রাজনৈতিক কর্মসূচি বেড়েছে। কিন্তু মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স। অনেকেই মাস্কও পড়ছে না। এই অবস্থায় নবান্নের নির্দেশ, রাস্তাঘাটে শারীরিক দূরত্বএবং মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে হবে। পরিবরহণের ক্ষেত্রে মানতে হবে কোভিড প্রোটোকল। রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এবং র্যালির ক্ষেত্রে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানার আবেদন জানানো হয়েছে। এমনই একগচ্ছ নির্দেশিকা মানতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, জেলায়-জেলায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সচল রাখতে হবে। চালু রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন। প্রয়োজন পড়লেই যেন ডাক্তার, নার্স, সিসিইউ স্টাফদের পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে বলে নির্দেশিকা জেলা প্রশাসনের।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
সোমবারের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৬৮ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৩১ জন। এদিন ৩৬৮ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৯৯ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৩০৮। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবারের বুলেটিন আসেনি)
জনতা কার্ফুর বর্ষপূর্তি
২২ মার্চ ২০১৯ সালে! গত বছর প্রথম জনতা কার্ফু হয়েছিল গোটা দেশে। একমাস একদিন হয়ে গেল লকডাউনের। করোনা সংক্রমণ রোখার প্রথম পদক্ষেপ করেছিল ভারত। আবার ২০২১ সালের সেই ২২ মার্চই করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। জনতা কর্ফুর বর্ষ পূর্তিতে সেই আগের অবস্থানের দিকেই এগোতে দেখা যাচ্ছে ভারতকে। হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রণ। মহারাষ্ট্র সহ ৫ রাজ্যের করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক জায়গায় চলে গিয়ে