'আরও ধরা পড়বে, জেলে রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না'! মির্জার গ্রেফতারি নিয়ে সরব সুজন-দিলীপ-রাহুলরা
কয়েক বছর আগের কথা। সেই সময় ম্যাথ্যু স্যামুয়েলসের নারদা স্টিং অপরেশন এক নিমেষে ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলার রাজনীতির। তৃণমূলের একের পর এক নেতা ও রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে দেখ গিয়েছিল
কয়েক বছর আগের কথা। সেই সময় ম্যাথ্যু স্যামুয়েলসের নারদা স্টিং অপারেশন এক নিমেষে ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলার রাজনীতির। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফাঁস হওয়া এই স্টিং অপারেশনে দেখা যায়, তৃণমূলের একের পর এক নেতা ও রাজ্যের আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে ঘুষ নিতে। সেই ঘটনার পর থেকে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তদন্তে নামে সিবিআই। ২০১৬ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সেই স্টিং অপরেশনের ফুটেজ আসতেই কয়েকদিন পর থেকেই তদন্ত শুরু হয়। আর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় প্রথম গ্রেফতারির খবর আসে। এদিন, আইপিএস অফিসার মির্জার গ্রেফতারির ঘটনা ঘিরে উঠে আসে একাধিক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া।
সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া
এদিন বাম শিবিরের তরফে সিবিআইয়ের গ্রেফতারিরি ঘটনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, এভাবে একের পর এক চোর ধরা পড়বে। .. এরপর জেলে রাখাবার জায়গা পাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, আইপিএস মির্জাকে গ্রেফতারি নিয়ে তিনি সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেনস বিলম্বিত তবে সছিক সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের।
দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, সবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সিবিআই। এই পদক্ষেপ অনেক আগে শুরু হলে ভালো হত। আইন আইনের পথে চলবে। রাজ্য বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, আমার ধারণা, দুইপক্ষকে সামনে বসিয়ে ওনাকে জেরা করলেই অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।
বিকাশরঞ্জ ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া
বাম নেতা ও তাবড় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, এমন গ্রেফতারির প্রক্রিয়া আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। তবে সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানান।
রাহুল সিনহা
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, এমন পদক্ষেপের পর সিবিআইয়ের অপর ভরসা বাড়বে মানুষের। তাঁর দাবি, নারদা ভিডিওতে আরও যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদেরও এবার ওখানে স্থান পাওয়া উচিত।
[ নারদাকাণ্ডে বাংলায় প্রথম গ্রেফতারি! আইপিএস মির্জাকে গ্রেফতার করল সিবিআই]
[ ধরাশায়ী বিজেপি! দিলীপ, মুকুলদের সংগঠনকে হারিয়ে বড় জয় তৃণমূলের ]