মুকুল রায় নিজেকে ‘গ্যারি সোবার্স’ ভাবেন, তাই ভয় পান না ‘গব্বরে’র সঙ্গে জুটি বাঁধতেও
মুকুল নিজেকে ‘গ্যারি সোবার্স’ ভাবেন, তাই ভয় পান না ‘গব্বরে’র সঙ্গে জুটি বাঁধতেও
মুকুল রায় বঙ্গ রাজনীতিতে চাণক্যের মর্যাদা পেয়ে আসছেন সেই তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইনি কম্যান্ড থাকাকালীনই। কিন্তু রাজনীতির পাশাপাশি তাঁর ক্রিকেট-প্রেম তাঁকে গ্যারি সোবার্স করে তুলেছে। সেই ব্যাখ্যা তিনি নিজেই দিয়েছেন। তখন তিনি তৃণমূলের সাংসদ, নিজেকে গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে তুলনা করে রাজনীতিতে টিকে থাকার রহস্যের হদিশ দিয়েছিলেন
গ্যারি সোবার্সের দৃষ্টান্ত টানলেন মুকুল
২০১৫ সালে দিল্লিতে তাঁর এমপি-কোয়ার্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠে বলেছিলেন, আপনারা কি জানেন- ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার সময় গ্যারি সোবার্স কীভাবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। যতদিন এই বিশ্বে ক্রিকেট থাকবে ততদিন লোকেরা গ্যারি সোবার্সকে মনে রাখবে। কেন জানেন? কারণ তিনি ধীরে ধীরে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসাবে বিকশিত করেছেন।
বাংলার রাজনীতির গ্যারি সোবার্স মুকুল!
নিজেকে তিনি বাংলার রাজনীতির গ্যারি সোবার্স বলে ব্যাখ্যা করলেন। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সহায়ক ছিলেন। এখন তিনি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ একটা নেতা। পদ নেই। তবু তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি সর্বদাই খবরে। গুজব হোক বা সত্যি খবরের শিরোনামে থেকে তিনি সর্বদাই বাংলার সবথেকে ‘খ্যাতিমান' রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন।
যতদিন রাজনীতি থাকবে, অগ্রাহ্য করা যাবেন মুকুলকে
মুকুল রায় এদিন ফের বলেন, "আজ আবার আমি বলছি যে যতদিন এই পৃথিবীতে ক্রিকেট থাকবে ততদিন লোকেরা গ্যারি সোবার্সকে স্মরণ করবে। একইভাবে যতদিন রাজনীতি থাকবে, ততদিন আমাকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না। আমাকে নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে। তা চলতেই থাকবে, কিন্তু আমি বঙ্গ রাজনীতিতে একই জায়গায় থাকব।
তৃণমূল ছাড়ার দিনের মতোই জয়ের আগ্রহ
মুকুল বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যে, আমি এখন বিজেপির সঙ্গে আছি এবং আমি বিজেপিতে থাকব। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কোনও প্রশ্নই আসে না। বাংলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে। তৃণমূল ছাড়ার দিনে যেমন ছিল, আজও সেই লড়াই জেতার আগ্রহ আছে আমার।
কেন বাংলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না মুকুল?
গত কয়েকমাস ধরে কেন তিনি বাংলার রাজনীতিতে এতটা সক্রিয় ছিলেন না? বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। আমার এখন ৬৫ বছর বয়স। গত ২০ বছর ধরে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন গ্রহণকারী কি এই মহামারী উপেক্ষা করতে পারে! তা করা উচিতও নয়। আমি তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করেছিলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রামও তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন দিনে তিনবার ইনসুলিন গ্রহণ করতেন? আমি নিই ইনিসুলিন ইঞ্জেকশন, এখনও সক্রিয় থাকতে চাই সেইভাবেই।
মিশন একুশে কাঁধে কাঁধ দিযে লড়বেন মুকুল-দিলীপ
বাংলায় এবার বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন আর বেশি দূরে নয়। মাত্র আট মাস সময় রয়েছে। তার আগে নিজেদের মধ্যে অশান্তি ভুলে হাতে হাত মেলালেন বঙ্গ বিজেপির দুই প্রধান স্তম্ভ মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলের পর বিধানসভা দখল আর অলীক কল্পনা নয় বিজেপির, তাই কোমর বেঁধেই এবার নামছেন তাঁরা।
মুকুল-দিলীপ জুটি বাঁধলেন মিশন একুশে! 'আনকনভেনশনাল জোড়ি’ কি সুপারহিট হবে