'দিদি' রেগে যেতে পারেন, নরেন্দ্র মোদীকে তাই অভিনন্দন নয় তৃণমূল সাংসদদের
পুরনো বৈরিতা ঝেড়ে ফেলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সমঝোতা করেছেন নবীন পট্টনায়ক, জয়ললিতা। শুধুই রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সখ্য নৈব নৈব চ।
নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি-র পাশাপাশি মিডিয়ার কাছেও মুখ না খুলতে সাংসদদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দেব, মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়, উমা সোরেন প্রমুখ নতুন সাংসদদের ওপর নজর রাখতে গোপন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুব্রত বক্সি, সৌগত রায়দের।
এরই মধ্যে 'কেলেঙ্কারি' ঘটিয়ে ফেলেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা সিনহা। তিনি গতকাল লোকসভায় সবার সামনে লালকৃষ্ণ আদবানিকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন। আপ্লুত আদবানি তাঁকে আন্তরিক আশীর্বাদ করেছেন। এই খবর দলনেত্রীর কাছে পৌঁছলে কী হবে, সেই ভেবে এখন ভয়ে কাঁটা বাকি সাংসদরা।
লালকৃষ্ণ আদবানির আশীর্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূলা পোদ্দারেরও। তিনি আসন ছেড়ে উঠে এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুব্রত বক্সির ভর্ৎসনায় শেষ পর্যন্ত অভিলাষ পূর্ণ করতে পারেননি।
লোকসভা ভোটের আগে যে সোনিয়া গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদী পরস্পরের প্রতি তোপ দেগেছেন, তাঁরা সৌজন্য বিনিময় করেছেন। নরেন্দ্র মোদীকে বিপুল জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান সোনিয়া। আর ক্যান্সারের জটিল চিকিৎসার পর এখন শরীর কেমন আছে, সেই ব্যাপারে সোনিয়ার কাছে খোঁজখবর নেন নরেন্দ্র মোদীও। অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৪ জন সাংসদই গ্যাঁট হয়ে বসেছিলেন। কেউ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্যটুকুও বিনিময় করেননি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনীতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে সৌজন্য প্রদর্শন আটকায় না। লোকসভা যুদ্ধক্ষেত্র নয়। এখানে অসৌজন্য প্রদর্শন করার অর্থ গণতান্ত্রিক আদর্শকেই অসম্মান করা।