বিজেপিকে মাত দেওয়ার ছক মমতার! মিশন ২০২১-এ জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারে নয়া চাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই বার্তা দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল হাসছে। কিন্তু সেই জঙ্গলমহলের কর্তৃত্বই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে বিগত লোকসভা ভোটে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই বার্তা দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল হাসছে। কিন্তু সেই জঙ্গলমহলের কর্তৃত্বই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে বিগত লোকসভা ভোটে। জঙ্গলমহলের সব ক'টি আসনই খোয়াতে হয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারে তাই নয়া চাল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জঙ্গলমহলে পুনরুত্থানের লক্ষ্যে মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের পর বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য জনমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ভুরিভরি, তবু কেন জঙ্গলমহলের মানুষ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তার কারণ অনুসন্ধান করতে এবার শুধু দলের নেতা-মন্ত্রীদের উপরই ভরসা করছেন না তিনি। তিনি আসরে নামাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও।
নয়া পরিকল্পনায় যুক্ত জেলাশাসকও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই নয়া পরিকল্পনায় যুক্ত করেছেন জেলাশাসকদেরও। মানুষ কী চাইছে, উন্নয়নের কাজে কী কোনও ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে, এলাকার জন্য আর কী কী করা দরকার, তা বুঝতে এবার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে শুরু করেছেন জেলাশাসকরা। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মন বুঝতে চাইছেন তাঁরা।
উন্নয়নের কাজে কোনও গাফিলতি নয়
মমতা নির্দেশ দিয়েছেন উন্নয়নের কাজে কোনও গাফিলতি করা যাবে না। প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাঁদের কী করে আরও ভালো করা যায় তার জন্যই এবার জেলাশাসকদের পর্যন্ত জনতার দুয়ারে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
জেলাশাসকরা সক্রিয় উন্নয়নে
জঙ্গলমহলের সমস্ত জেলাশাসকরা অতি সক্রিয় হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে জেলাশাসকরা খতিয়ে দেখছেন, উন্নয়নের কাজে খামতি থাকছে কি না, কী কারণে জঙ্গলমহলের মানুষের হাতে উন্নয়ন পৌঁছচ্ছে না, তাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, দলের নেতাদের দুর্নীতি ও দলবাজির বিষয়টিও মমতার নজরে রয়েছে। তাই তিনি এই চাল চেলেছেন।
দুর্নীতি ও দলবাজির কারণ যাচাইয়ে
মমতার উপলব্ধি, দলের নেতাদের দুর্নীতি ও দলবাজির কারণে জঙ্গলমহলের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। নেতাদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাঁর সরকারের প্রতি ক্ষোভ থাকতে পারে না। কারণ তাঁর সরকার সাধারণ মানুষের সরকার, মানুষের উন্নয়নেই কাজ করে চলেছে। সেই উপলব্ধির জায়গা থেকেই, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের পাশাপাশি সরকারি সত্রে জেলাশাসকদেরও ব্যবহার করছেন উন্নয়নের লক্ষ্যে।
বাড়িতে বাড়িতে অভিযান জেলাশাসকদের
'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে যখন তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রী-সাংসদরা এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলছেন, এলাকায় রাত কাটাচ্ছেন, তখন জেলাশাসকও তাঁর মতো করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মন বুঝতে চাইছেন জেলাশাসকরা।
[ কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াল বিজেপি, মমতাকে সবক শেখাতে আইনি সাহায্যের বার্তা দিলীপের]
[মমতার নয়া তাস জঙ্গলমহলে! জেলাশাসকরাও উন্নয়নের বা্র্তা নিয়ে ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি]