মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরাই মূল শক্তি বিজেপির, একুশে মমতার জয় লুকিয়ে এখানেই
মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরাই মূল শক্তি বিজেপির, একুশে মমতার জয় লুকিয়ে এখানেই
মমতার দলের দিকপালরাই একুশের নির্বাচনে বিজেপির মূল শক্তি। কোনও বিজেপির মুখ সামনে নেই। কেন্দ্রীয় বিজেপি মমতার বিরুদ্ধে খাঁড়া করতে চাইছে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া নেতাদের। বিজেপির এই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার প্রয়াসকেই ইস্যু করেছে তৃণমূল। তৃণমূল এই ইস্যুতেই একুশের নির্বাচনে মাত দিতে চাইছে বিজেপিকে!
তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিজেপি নেতা বনেছেন
মুকুল রায় ২০ বছর তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তাঁর নির্দেশই ছিল দলের শেষ কথা। সেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর তাঁর অনুগামী অনেক নেতাকে তিনি বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ সংযোজন শুভেন্দু ও রাজীব।
বিজেপির তুরুপের তাস যখন শুভেন্দু-রাজীবরা
বর্তমান অবস্থায় শুভেন্দু-রাজীবদের ভরসাতেই এবার নির্বাচন জিততে চাইছে বিজেপি। মুকুল রায়ের পরিকল্পনা আর মুখ হিসেবে শুভেন্দু ও রাজীবই এবার বিজেপির তুরুপের তাস হতে চলেছেন। বিজেপির আদি কোনও নেতা নেই। শুধু দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি হিসেবে সামনের সারিতে থাকছেন। বাকি সবাই অনেক পিছনে।
বিজেপির কোনও নিজস্ব মুখ নেই, সবাই ‘বহিরাগত’
তৃণমূল বিজেপির এই দৈন্যতাই মানুষের সামনে তুলে ধরতে আগ্রহী। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে, বিজেপির কোনও নিজস্ব মুখ নেই। সবাই 'বহিরাগত'। কেন্দ্রীয় নেতারা বাইরে থেকে আসছেন বাংলার দখল নিতে তাই তাঁরা বহিরাগত। আর এ রাজ্যের যাঁদের মুখ করে বিজেপি একুশের নির্বাচন লড়তে চাইছে, তাঁরাও বহিরাগত, কেননা তাঁরা ভিন্ন দল থেকে আসা নেতা।
তৃণমূল থেকেই নেতা ভাঙিয়ে জয় চাইছে বিজেপি
তৃণমূল বহিরাগত তত্ত্বে প্রমাণ করতে চাইছে, বিজেপির কোনও নিজস্ব নেতা নেই। দলে কোনও নেতা নেই যাঁকে সামনে এনে বিজেপি বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলের মুখোমুখি হতে পরে। তৃণমূল থেকেই নেতা ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে বিজেপি তৃণমূলকে হারাতে চাইছে। বিজেপির এই অভিষন্ধি পুরণ হওয়ার নয়।
একুশের নির্বাচনের বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে বাংলা
তৃণমূলের বিশ্বাস, বাংলার মানুষ এই বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেবে না। তাঁরা বিজেপিকে বয়কট করবে। একুশের নির্বাচনের বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন তাঁরা। ফের তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কেননা বাংলার মানুষ জানে তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
মমতার বড় ঘূঁটি হলেন মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরা
বাংলার ভোটে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় ঘূঁটি হলেন মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরা। তাঁদেরকে বিজেপিতে বহিরাগত নব্যনেতার তকমা দিয়েই কাজ হাসিল করে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের গেমপ্ল্যান মেনেই মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবদের কোণঠাসা করে দেওয়ার ছক কষেছেন মমতা-অভিষেকরা।
মানুষ এই নকল বিজেপিদের রেয়াত করবে না
তৃণমূলের তরফে এমন কথাও বলা হচ্ছে, কেন মুকুল-শুভেন্দু-রাজীবরা সামনে। কেনই বা সামনে নন দিলীপ-রাহুল-শমীক-সায়ন্তনরা। বিজেপির আদি নেতারা পিছিয়ে পড়ছেন নব্যদের ভিড়ে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নব্যদের নিয়েই বেশি ব্যস্ত। মানুষ এই নকল বিজেপিদের রেয়াত করবে না।
একুশের নির্বাচনে চেনা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই মমতার
যাঁরা এতদিন মোদী-শাহদের আক্রমণ করেছেন। দিলীপ ঘোষদের সমালোচনা করেছেন, তাঁদের মুখে মোদী-শাহ বন্দনা যেমন মানুষ বিশ্বাস করবে না, তেমনই তৃণমূলে ২০ বছরেরও বেশি সমস্ত সুবিধা ভোগ করা নেতাদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিন্দাও কেউ মেনে নেবেন না। মমতার জয় এখানেই যে, তাঁর দলের নেতাকে নিয়েই বিজেপিকে লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে।
সংসদে মোদীর বক্তৃতার সময় গলা চড়ালেন অধীর, আইন ফেরানোর দাবিতে ওয়াকআউট রাহুলদের