মোদীর প্রকল্প চালু করে কৃষকদের পাশে মমতা, ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ এবার বঙ্গেও
মোদীর প্রকল্প চালু করে কৃষকদের পাশে মমতা, ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ এবার বঙ্গেও
মোদীর প্রকল্প মমতা চালু করতে দেন না, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে অবশেষে 'রণেভঙ্গ' দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার কৃষকের স্বার্থে ইতি ঘটালেন 'কিষাণ সম্মান নিধি' প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের। সোমবার নবান্ন থেকে তিনি অনুমতি দিলেন 'কিষাণ সম্মান নিধি' চালু করার।
কৃষকদের দিকে চেয়ে ‘কিষাণ সম্মান নিধি’র অনুমতি
‘কিষাণ সম্মান নিধি' চালু করার অনুমতি দিলেও তিনি কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থাকছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার কৃষক-স্বার্থেই তিনি এই প্রকল্প চালুর অনুমতি দিচ্ছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে চিঠি চালাচালির পর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারপরই তিনি কৃষকদের মুখের দিকে চেয়ে অনুমতি দিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী কাজ কেন্দ্রের
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র রাজ্যকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বলেই নানা বিষয়ে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র অনেক কিছুই সরাসরি করতে চাইছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কেন্দ্র কৃষকদের তথ্য নথিভুক্ত করতে একটি পোর্টাল খুলেছে, তা রাজ্যকে জানানোই হয়নি। শুধু বলে চলেছে, রাজ্য কোনও তথ্য ভেরিফাই করছে না।
মমতার কাছে কৃষকদের স্বার্থ সবার আগে
মমতা বলেন, আমার কাছে কৃষকরা সবার আগে। তাই কেন্দ্রের কাছে বাংলা যতই অচ্ছ্যুৎ থাক, কৃষকদের স্বার্থের কথা ভেবে আমরা বলেছি তথ্য পাঠিয়ে দিতে, আমরা ভেরিফাই করে দেব। আমি চাই না কৃষকদের নিয়ে কোনও রাজনীতি হোক। তাই আমাদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সমস্ত কৃষকরা পেলেও বাড়তি হিসেবে কেউ কেন্দ্রেরটা পেলে আমার কোনও আপত্তি নেই।
কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ‘সহযোগী’ মমতা
কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যপালও সরব হয়েছিলেন তা নিয়ে। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বাংলায় চালুর জন্য এর আগে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যের দাবি ছিল, এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে না পাঠিয়ে রাজ্যকে দেওয়া হোক। শেষে সংঘাতের পথ থেকে সরে এসে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে তা পাঠানোর অনুমতি দিলেন মমতা।
একুশের আগে বাংলার পাশে মমতা, 'চোখের আলো’ প্রকল্প চালু করে মাস্টারস্ট্রোক