একুশে জুলাই এবার বুথে বুথে, তবে মমতার বক্তব্যও পৌঁছে যাবে নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে
এবার যে করোনার থাবা পড়েছে বাংলার বুকে। তাই একুশে জুলাই আর আগের মতো করে হবে না। সেই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন আগেই।
এবার যে করোনার থাবা পড়েছে বাংলার বুকে। তাই একুশে জুলাই আর আগের মতো করে হবে না। সেই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন আগেই। শুক্রবার ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন এবার বাংলার একুশের সমাবেশ হবে কী পদ্ধতিতে। ১৯৯৩ সালে মহাকরণ অভিযানে নারকীয় হত্যালীলার পর থেকেই পালিত হয়ে আসছে শহিদ সমাবেশ।
শহিদ দিবস বাংলার প্রতিটি বুথে বুথে
কিন্তু এবার তো আর প্রতি বছরের মতো পরিস্থিতি নেই তাই একুশের সমাবেশও হবে অন্যভাবে। ভিডিও বৈঠকে মমতা জানান, এবার বড় করে শহিদ দিবস পালন হবে না। এবার শহিদ দিবস পালন হবে বাংলার প্রতিটি বুথে বুথে। সমস্ত নেতা-কর্মীদের তিনি বুথে একুশে জুলাই পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার লক্ষাধিক মানুষসের সমাবেশ করে শহিদ দিবস হবে না। শহিদ দিবস হবে লক্ষাধিক বুথে।
মমতার ভাষণ শোনা যাবে এবারও
তবে প্রতিবারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহিদ দিবসের ভাষণ শোনা যাবে এবারও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার কোনও জায়গা থেকে শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন, তা ভার্চুয়ালি পৌঁছে যাবে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। অর্থাৎ মমতা ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমে পালন করবেন একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। তৈরি হবে শহিদ বেদিও।
বুথস্তরে সংগঠনের বিস্তারে শহিদ সমাবেশ
মমতা দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এবার বিধানসভা নির্বাচন হবে একেবারে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, তাই প্রস্তুতির দরকার খুব। একুশের ভোটের আগে একুশের সমাবেশ থেকে বুথস্তরে সংগঠনের বিস্তারই এবার তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। এই শহিদ সমাবেশ থেকেই তা শুরু করতে হবে।
মানুষের পাশে থাকতে হবে : মমতা
মমতা এদিন ২০২১-এর নির্বাচনে টার্গেট বেঁধে দেন বিধায়কদের জন্য। মমতা জানান, প্রত্যেক বিধায়ককে জিততেই হবে নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে। সেজন্য ঘরে বসে না থেকে জনসংযোগ শুরু করুন এখন থেকে। সবাইকে নিবিড় জনসংযোগ তৈরি করতে হবে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই জনসংযোগ চালিয়ে যেতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে।