মধ্যরাতে স্বাধীনতার কথা শুনেছি, সরকার গঠনের কথা শুনিনি! খোঁচা দিলেন মমতা
মহারাষ্ট্রে বিজেপির মহাচমকের তিনদিন পর মহাপতন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে খোঁচা দেন বিজেপিকে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির মহাচমকের তিনদিন পর মহাপতন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে খোঁচা দেন বিজেপিকে। খোঁচা দেন রাজ্যপালকেও। বলেন, মধ্যরাতে স্বাধীনতার কখা শুনেছি, মধ্যরাতে সরকার গঠনের কথা এই শুনলাম। কেন মহারাষ্ট্রে চুপিচুপি সরকার গঠন করা হল, প্রশ্ন ছুড়লেন মমতা।
মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। বিজেপির সেই সরকারের তিনদিনেই পতন ঘটল। আর এই জয়কে গণতন্ত্রের জয়, বিরোধী ঐক্যের জয় বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করল বিজেপির মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যপালের ভূমিকাও প্রশ্নাতীত নয়।
এদিন বাংলার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, কার কী অধিকার তা আমি বুঝি। আমার সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও লড়াই নেই। গভর্নর একটি সাংবিধানিক পদ। তিনি কেন এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন তা আমি জানি না। আমরা জানি তিনি কার নির্দেশে এইসব করছেন। আমরা জানি তাকে কে পাঠিয়েছে এবং তার কাজ কী।
মমতার কথায়, সংবিধান ভারতের রক্ষাকবচ। নিজের মতো করে ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারছে না কেউ। এদিন মমতা রাজ্যপালের কাশ্মীর মন্তব্যেরও একহাত নেন। মমতা বলেন, রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছিলেন কাশ্মীর নিয়ে। আমাদের গভর্নর খুব ভাল কথা বলেছেন, তবে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে এটি কাশ্মীর নয়, এটি বাংলা। কিন্তু তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছেন।
তাঁর কথায়, দেশে এখনও অনেক সাহসী মানুষ আছেন। তাই তাঁরা জেলে যেতে রাজি। কিন্তু কোলে বসতে নন। এদিন রাজ্যপালের ৩৭০ ধারা রদকে সমর্থন করা নিয়ে মমতা এই ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ফারুক আবদুল্লাদের জেলে আটকে রেখে ৩৭০ ধারা রদ করতে হল। আজও তিনি জেলে। এই কি গণতন্ত্র। কেন কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিন হেলিকপ্টার প্রসঙ্গেও রাজ্যপালকে জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। কিন্তু কেন পাননি, তা না জেনেই তিনি নিশানা করলেন। মমতা জবাব দেন, পিপিপি মডেলে নেওয়া হেলিকপ্টার। তা রাজ্য সরকার ছাড়াও জন সাধারণের জন্যও ব্যবহার হয়। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া রাজ্য তা ব্যবহারও করে না।