ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা! প্রস্তুতি তুঙ্গে মাহেশে
বাঙালির মনে রথযাত্রার কথা বলতে প্রথমেই চলে আসে পুরীর নাম। আর রাজ্যে প্রথমেই আসে হুগলির মাহেশের নাম। ধারে ভারে যা পুরীর প্রায় কাছেই রয়েছে। এবছর ৬২২ বছরে পা দিচ্ছে এই রথযাত্রা।
বাঙালির মনে রথযাত্রার কথা বলতে প্রথমেই চলে আসে পুরীর নাম। আর রাজ্যে প্রথমেই আসে হুগলির মাহেশের নাম। ধারে ভারে যা পুরীর প্রায় কাছেই রয়েছে। এবছর ৬২২ বছরে পা দিচ্ছে এই রথযাত্রা। মাহেশে রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরো দমে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করার বন্দোবস্তও করা হচ্ছে।
শনিবার রথযাত্রা। ওই দিন সকালে মাহেশে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার বিশেষ পুজো হবে। পরে তিন বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে আনা হয়। সেই সময় বিগ্রহ ছুঁয়ে প্রণাম করার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বিকেলে রথের দড়িতে টান দেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রথমে সেটি কাঠের থাকলেও, শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সহায়তায় প্রায় ১২৮ বছর আগে লোহার রথ তৈরি করা হয়। রথের ওজন প্রায় ১২৫ টনের মতো। উচ্চতা ৪৫ ফুট। রয়েছে নটি চূড়া ও বারোটি টাকা। প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে এই রথ যায় মাসির বাড়িতে। উল্টোরথের দিন আবার সেটিকে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়।
ইতিহাসে আছে, ১৩৯৬ সালে ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী পুরী থেকে পায়ে হেঁটে শ্রীরামপুর মাহেশে গিয়ে জগন্নাথ দেবের রথের সূচনা করেন। পুরীর রীতি মেনে মাহেশে জগন্নাথ দেবের পুজো এবং রথযাত্রার আয়োজন করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানি উপন্যাসে মাহেশের রথযাত্রার বিবরণ রয়েছে। রামকৃষ্ণ, সারদা দেবী, গিরিশ ঘোষ রথযাত্রা দেখতে মাহেশে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।