মমতার চালে সিপিএম পড়েছে গভীর বিপাকে, বিতর্কের জেরে বামেদের প্রশ্নের মুখে বিমান
মমতার সরকারের প্রস্তাব মেনে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক পদ স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তারপরই বিতর্ক বামফ্রন্টে। অশোকবাবু প্রশাসক পদ নেওয়ার পরই তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল
মমতার সরকারের প্রস্তাব মেনে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক পদ স্বীকার করে নিয়েছেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তারপরই বিতর্ক বেধেছে বামফ্রন্টে। অশোকবাবু প্রশাসক পদ নেওয়ার পরই তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল চেয়ারম্যান বিমান বসুকে।
বামেদের প্রশ্নের মুখে
সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের প্রশাসক পদে বসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরএসপির সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, বামফ্রন্ট প্রশাসক বসানোর নীতিগত বিরোধী। তা সত্ত্বেও কেন ওই প্রশাসক পদ নিলেন অশোক ভট্টাচার্য।
মমতার প্রস্তাব মেনে
প্রথমে প্রশাসক পদ নিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। বোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের উপস্থিতির দোহাই দিয়ে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু নবান্নের তরফে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাদ দিয়েই বোর্ড গঠনের পর অশোকবাবু সেই প্রস্তাব মেনে নেন এবং বসেন প্রশাসক পদে।
বিমানের প্রশ্ন জীবেশকে
এরপরই অশোক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় বিপাকে পড়ে যায় সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। চটজলদি বিমান বসু যোগাযোগ করেন দার্জিলিংয়ের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের সঙ্গে। কেন আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। যুক্তি দেখালেও অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করতে পারেনি সিপিএম নেতৃত্ব।
সতর্ক করেই দায় সারা
সিপিএম তথা বামফ্রন্টে বিতর্ক সামলাতে এরপরই আসরে নামেন বিমান বসু। বিমানবাবু আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে তারা এ ব্যাপারে সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করবেন। অশোকবাবু প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নেওয়ায় এখনও আর কোনও উপায় নেই। শুধু সতর্ক করেই দায় সারতে হয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে।
মমতার সঙ্গে মিলল দিলীপের ডাক! বিরোধীদের করোনা ফ্রন্টে নেতৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির