কালিয়াগঞ্জে কার ভাগ্য প্রসন্ন হবে, প্রার্থীদের ভাগ্য বন্দি স্ট্রং রুমে
কালিয়াগঞ্জে কার ভাগ্য প্রসন্ন হবে, প্রার্থীদের ভাগ্য বন্দি স্ট্রং রুমে
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কার দখলে? এনিয়েই এখন থেকেই কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে জেলা সর্বত্র চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আপাতত কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ৬জন প্রার্থীর ভাগ্য বন্দি হয়ে আছে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রং রুমে। প্রহরায় থাকা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা।
২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গননার পর জানা যাবে বিজয় উল্লাস কোন দল করবে।কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের তপন দেব সিংহ, বিজেপির কমল চন্দ্র সরকার, এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী কংগ্রেসের প্রয়াত বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়ের মেয়ে ধীতশ্রী রায়।
এছাড়াও আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই উপনির্বাচনে। মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থী কার ভোট কতটা কাটবে তা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে ভোটের ফলাফলে।
তবে প্রচারের নিরিখে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে ছিল তৃনমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতা প্রচারে ঝাঁপিয়েছিলেন। এদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দোপাধ্যায়, গৌতম দেব, গোলাম রব্বানি, বাচ্চু হাঁসদার মতো রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্যরা। সাংসদ অভিনেতা দেব, অর্পিতা ঘোষ থেকে শুরু করে কানাইয়ালাল আগরওয়াল, অমল আচার্য সকলেই কালিয়াগঞ্জের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন।
পিছিয়ে ছিল না গেরুয়া শিবিরও। লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমনকি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে দিয়েও রোড শো করানো হয়। তবে এই উপনির্বাচনের ফলাফলে রাজ্য বিধানসভায় কোনও প্রভাব পড়বে না। এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ কাকে ভোট দেয় সেটাই দেখার।